বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

খেলাপি ঋণ ও অর্থ পাচার নিয়ে সংসদে সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১৩ জুন সংসদে উত্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকার দলের প্রবীণ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি হয়ে গেল। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হলো না। এটা দুঃখের বিষয়। তিনি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের টাকা আদায়ে প্রশাসন ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সব প্রক্রিয়া প্রয়োগ করার তাগিদ দেন। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণের টাকা পাচার ঠেকানোর তাগিদ দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের আবদুল মান্নান, সাইফুজ্জামান শেখর, পঙ্কজনাথ, হাবিবে মিল্লাত, খালেদা খানম, আরমা দত্ত, রুবিনা আকতার মিরা, শেখ এ্যানি রহমান প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, ঋণ আদায়ের যত প্রক্রিয়া আছে সব প্রয়োগ করুন। দুর্ঘটনাক্রমে কেউ ঋণখেলাপি হলে একটা কথা থাকে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি করলে তাদের ধরতে হবে। কেউ খেলাপি ঋণের টাকা দেশ থেকে পাচার করলে তা যদি ধরা পড়ে, তাহলে তারও রেহাই নেই। এজন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় জোরালো তদারকি দরকার। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে কর আদায়ের জন্য কর কর্মকর্তা নিয়োগ দেবেন। এখন পর্যন্ত দফতরও নেই, কর্মকর্তাও নেই। কবে আদায় করবেন ট্যাক্স?

জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করব : সরকারি দলের সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, এবারের সংসদে আর একটি বিরোধী দল যুক্ত হয়েছে। বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য আছেন। উনারা সবাই বক্তৃতা শুরুটাই করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক একজন ব্যক্তির নাম নিয়ে। সে হচ্ছে জিয়াউর রহমান। কিন্তু জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কোনো দিন এই বাংলাদেশে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, এ কথা বলেননি, এ দাবি করা হয়নি। এ রকম কোনো প্রমাণ যদি ওই সদস্যরা এই সংসদে হাজির করতে পারেন তাহলে আমি এই সংসদ থেকে পদত্যাগ করব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং ঘোষণায় দেশ স্বাধীন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর