টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দলিল নিবন্ধন থেকে শুরু করে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে সেবাগ্রহীতাদের সব ধরনের কাছে টাকা দিতে হয়। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে নিয়ম-বহির্ভূত এ অর্থ আদায় করা হয়। টাকা ছাড়া কাজ হয় না রেজিস্ট্রি অফিসে। গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত টিআইবির এ সংবাদ সম্মেলনে ‘ভূমি দলিল নিবন্ধন সেরায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সুলতানা কামাল, উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। গবেষণা পরিচালনা ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রোগ্রাম ডেপুটি ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) শাম্মী লায়লা ইসলাম ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) নিহার রঞ্জন রায়। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ করানো অত্যন্ত দুরূহ। দলিল লেখার ফি সম্পর্কে সেবাগ্রহীতাদের ধারণা না থাকায় অধিকাংশ দলিল লেখক সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে উচ্চহারে পারিশ্রমিক আদায় করে থাকেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে সেবাগ্রহীতারা অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হন। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবা খাতে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে সেবা দেওয়ার নামে জিম্মি করে, সময়ক্ষেপণ করে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ ও ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্য প্রায় সব খাতের মতোই আইনি দুর্বলতা, সেবার মানোন্নয়নে ও নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে, জনবল, অবকাঠামোগত, পরিকল্পনা ও উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটালাইজেশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়েছে। অবকাঠামোগত দিক থেকে অধিকাংশ ভূমি অফিস জরাজীর্ণ। সুশাসনের ঘাটতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, কোনো ভূমি দলিল নিবন্ধন অফিস ব্যতিক্রমও পেয়েছি। অনেক কর্মকর্তা জবাবদিহিতার সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সে সংখ্যা তুলনায় খুবই কম। সেবা খাত মানেই সুশাসনের ঘাটতি ও দুর্নীতিপ্রবণ। দলিল নিবন্ধন ও দুর্নীতি যেন অনেকটা সমার্থক হয়ে গেছে। এ খাতে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের চিত্র বিরাজ করছে। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। দুর্নীতির অংশীজনদের নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতিপরায়নদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে সেবাগ্রহীতারা হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন এবং সরকারের রাজস্ব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শিরোনাম
- উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
- ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
- দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
- টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
- ১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
- প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
- ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
- মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
- ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
- রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান
- কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর
- সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর
- টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
- পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি
- জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম
- ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটুনি
সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ হয় না টাকা ছাড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর