বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাসিনার সফরে এনআরসি আলোচ্য নয়

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

হাসিনার সফরে এনআরসি আলোচ্য নয়

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে এনআরসি নিয়ে যাবতীয় জল্পনা দূর করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গতকাল মোদি সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন। এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা- জানতে চাইলে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘এনআরসি কোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সার্বভৌম দেশের অধিকার রয়েছে নাগরিক তালিকা তৈরি করার। আসামে সে প্রক্রিয়াই চলছে। এজন্যই এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ তাকে প্রশ্ন করা হয়, শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল যদি বিদেশি চিহ্নিত করে কাউকে তাহলে কি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন না? তিনি এর কোনো জবাব দেননি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সফরের সময় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। তবে সরকারিভাবে তারা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘোষণা করেননি। এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘যখন এ সফর সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে তখন এ বিষয়ে যাবতীয় ইস্যু বলা হবে।’ সার্ক বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে সার্ক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কী আলোচনা হবে তা এখনই বলা যাবে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়।’ তবে সার্ক বিষয়ে ভারতের মত হলো- সার্ক এমন একটি সংগঠন যার মূল উদ্দেশ্য সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মঞ্চ। কিন্তু সার্ক সদস্য দেশরা সবাই জানে কোন দেশের কারণে এই সার্ক সফল হচ্ছে না। যদি একটা দেশের রাষ্ট্রনীতি হয় প্রতিবেশী দেশে সন্ত্রাসবাদ মদদ দেওয়া তাহলে সেই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে কী করে? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ দিল্লিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শলাপরামর্শ করছেন। বিশেষ করে সংবাদ সম্মেলনে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বৃদ্ধি নিয়ে অনেক প্রকল্প শেষ পর্যায়ে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেললাইন বিস্তার। পার্বতীপুর থেকে তেল পাইপলাইন নির্মাণ এবং সম্প্রতি খুলনায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ হলে কলকাতা থেকে আগরতলা ভায়া ঢাকা রেল চলাচল আগামী বছর চালু হয়ে যাবে। এর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের। বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীও ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত সিকিমে সফর করেছেন যাতে উত্তরবঙ্গ থেকে সহজেই বাংলাদেশিরা সিকিমে ভ্রমণের সুযোগ পান। তাদের জন্য নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব, উত্তর-পূর্ব ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও বৈঠক করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর