খালেদা জিয়া আলেমদের কিছু দেননি। এ জন্য তিনি এখন আফসোস করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলেমদের অনেক সম্মানিত করেছেন। তিনি আমাদেরকে এমএ পাসের সমতুল্য ডিগ্রি দিয়েছেন। এটা আর কেউ দেননি। এত বছর ধরে বড় বড় আলেমরা এটি চেয়েছিলেন কিন্তু কারও আমলেই এর স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। শেখ হাসিনা এ স্বীকৃতি দিয়ে আলেমদের প্রশংসা নিয়ে নিয়েছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া সোনারগাঁ শাখার আঞ্চলিক পরীক্ষায় কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ও ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান মেহমান হিসেবে হেফাজতে ইসলামের আমির ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাবলিগ জামাতের জন্য অনেক জায়গা জমি দিয়েছেন। ওনার মেয়ে শেখ হাসিনা আমাদেরকে এমএ পাসের মর্যাদা দিয়েছেন। যা দুনিয়াতে এখনো কেউ দেয় নাই।

সোনারগাঁবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা অনেক ভাগ্যবান কারণ এ সোনারগাঁ থেকে এক সময় এলেমে হাদিসের চর্চা শুরু হয়েছিল। আমার অনুরোধ সোনারগাঁয়ের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের পরিবার থেকে অন্তত একটি ছেলেকে আলেম মুফতি বানাবেন। তিনি বলেন, মানুষ হাসরের মাঠে কার সঙ্গে একত্রিত হবেন এ প্রসঙ্গে আল্লাহর নবী বলে গেছেন, যে যাকে বেশি মহব্বত করে তার সঙ্গেই হাসর-নসর হবে। আপনারা যদি আলেমদের মতব্বত করেন তা হলে আলেমদের সঙ্গেই আপনাদের হাসর হবে। তিনি বলেন, আমার বয়স এখন ১০১ বছর। আমি বেশি কথা বলতে পারি না। আজ আপনারা কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য এ অনুষ্ঠানে ডাক দিয়েছেন। আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা আমার কাছে নিয়ত করেন আপনাদের পরিবার থেকে একটি ছেলেকে অবশ্যই মুফতি আলেম বানাবেন। অনুষ্ঠানে আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আবদুল কাদের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ প্রমুখ।