চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে যুবকের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় উপজেলার উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার সহযোগী তারেক আহমেদকেও গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার আমনুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, রুবেল হোসেনের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে নওগাঁ পালিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার আমনুরায় পুলিশের চেক পোস্টে মূল আসামি ফয়েজ আহমদসহ অপর আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। কব্জি হারানো রুবেল হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। রুবেল শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে। বুধবার গভীর রাতে রুবেলকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলে ফয়েজ আহমেদের লোকজন। ফয়েজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কব্জি হারানো রুবেল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিনের সঙ্গে নদীর ঘাট নিয়ে তার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে তার দুই হাতের কব্জি কেটে দিয়েছে। রুবেলের চাচাতো ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার রাতে রুবেল তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি আসছিলেন। এ সময় উজিরপুর বেড়ি বাঁধের কাছে কয়েকজন তাদের পথ রোধ করেন এবং চেয়ারম্যান ফয়েজের চেম্বারে গিয়ে দেখা করতে বলেন। রুবেল বন্ধুদের নিয়ে চেম্বারে গেলে, তার দুই বন্ধুকে আটকে রেখে রুবেলের মুখ ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে পদ্মা নদীর বাঁধের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্যাতন করে তার দুই হাতের কব্জি কেটে নেন চেয়ারম্যানের লোকজন। আব্দুস সালাম জানান, নিউ পদ্মা ফেরি ঘাট নিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজের সঙ্গে তাদের বিরোধ আছে। কিছুদিন ধরে ফয়েজ ফেরি ঘাটটি পুরো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছিলেন।
