দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ঘুষ আদান-প্রদান কি সরকারি দায়িত্ব? ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? তিনি জানান, ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া ১৫ থেকে ২০ জনের একটি তালিকা দুদকের হাতে এসেছে। তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানে কমিশন মাঠে নেমেছে। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এসব ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আইনি পথে চলতে চাই। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তাহলে তা করবেন। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ দুজনকে ঘুষের টাকাসহ দুদকের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চান যে, আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মচারী গ্রেফতার করা বেআইনি। কীভাবে দুদক দুজন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করল? জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমার যতটা মনে আছে সরকারি কর্মচারী আইনে বলা হয়েছে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে যদি কোনো ফৌজদারি মামলা হয়, তবে চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত তাদের সরকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঘুষ খাওয়া সরকারি দায়িত্ব নয়।
এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। মহান সংসদে যেসব আইন পাস হয়, তার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখেই কমিশন দায়িত্ব পালন করছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুদকের ভূমিকা কী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে এই ব্যবসার মাধ্যমে যে বা যারা জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, তাদের বিষয়টি কমিশনের আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুদক এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা বিশেষ পেশা দুদকের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। দুদকের বিচার্য হচ্ছে, দুর্নীতি হয়েছে কিনা এবং তা কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ কিনা। অপরাধটি যদি কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত হয়, তাহলে যিনিই হোক, ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে সকালে সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএনওডিসির উদ্যোগে ন্যাশনাল ট্রেনিং ফর অ্যান্টিকরাপশন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘করাপশন রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।