বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হুন্ডি ব্যবসায়ীর সন্ধানে গোয়েন্দারা

ক্যাসিনোর টাকা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাসিনোর টাকা বিদেশে পাচারে জড়িত দুই হুন্ডি ব্যবসায়ীকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছে খবর রয়েছে, অভিযান শুরুর পরপরই দুই পিকআপ ভর্তি টাকা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হুন্ডি ব্যবসায়ী শাহিন চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ ও গোয়েন্দারা হুন্ডি ব্যবসায়ী শাহিন চৌধুরীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। এ ছাড়াও শাহিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সম্রাটের ক্যাশিয়ার আলী হোসেনকেও তারা খুঁজছে। সূত্র জানায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার দুই দিন পর দুই পিকআপ ভর্তি টাকার সন্ধান পাওয়া যায়। গোয়েন্দাদের ধারণা, এই টাকা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং সম্রাটের। সম্রাট কাকরাইল অফিসে অবস্থান করলেও হুক্যাসিনোর অর্জিত বিপুল পরিমাণ টাকা গোপন জায়গায় স্থানান্তর করেন। সম্প্রতি অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম ও সেলিম প্রধানের টাকা সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। এ ভয়ে দুর্নীতিবাজ নেতারা নিজেদের অর্থ-সম্পদ পাচার করতে শুরু করে। হঠাৎ করে এমন বেকায়দার পরিস্থিতিতে পড়তে হবে- এটা তাদের ধারণায় ছিল না। এ জন্য নিজেদের বাঁচাতে অনেকে বস্তায় ভরে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন গ্রামের বাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি একজন প্রকৌশলী কয়েক বস্তা টাকা তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখতে যান। কিন্তু ওই আত্মীয় রাখতে রাজি হননি। এ অবস্থায় অবৈধ টাকা রাখার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, দুর্নীতি, মাদক, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা। অঢেল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজরা তাদের সিংহভাগ টাকা পাচার করেছেন ব্যাংককে অবস্থানকারী চট্টগ্রামের শাহীন চৌধুরী নামের হুন্ডি ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারির মাধ্যমে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির কর্মকর্তা শাহীন চৌধুরীর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। জি কে শামীম রিমান্ডে : মানি লন্ডারিং মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) রিমান্ডে রয়েছেন জি কে শামীম। গত ২ অক্টোবর আদালত অস্ত্র মামলায় চার দিন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেয়। অস্ত্র আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব গত সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন অস্ত্র মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাকে মানি লন্ডারিং মামলায় মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে রিমান্ডে নেয় সিআইডি। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর