রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইডেন কলেজে বঁটি দিয়ে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে কোপালেন আরেক নেত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নেত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছেন আরেক নেত্রী। হলে বহিরাগত ছাত্রী রাখাকে কেন্দ্র করে গতকাল ভোরে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রুপার আয়ত্তে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা হলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক কক্ষ আছে। এরই মধ্যে ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামে একজন থাকতেন। তাকে হলে রাখাকে কেন্দ্র করেই হল ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের সঙ্গে বাকবিতন্ডার শুরু হয়। একপর্যায়ে কয়েকজনকে মারধর ও ছাত্রলীগের সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ছুরি দিয়ে কোপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মাহবুবা নাসরিন রুপার বিরুদ্ধে। পরে শাখা ছাত্রলীগের আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আঞ্জুমান আরা অনু ও তার অনুসারীরা রুপার গ্রুপের কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। তবে কোপানোর কথা অস্বীকার করে মাহবুবা নাসরিন রুপা বলেন, ওরাই (অনুর অনুসারীরা) আমার কাছে বিচার নিয়ে এসেছিল যে নাবিলাই তামান্নাকে কোপাইছে। এখন শুনতেছি, আমি নাকি কোপাইছি। তিনি বলেন, রাতে আমি ফোনে জানতে পারি, বঙ্গমাতা হলে নাবিলাকে নাকি মেরে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি হলের নিচে নামলে অনুর মেয়েরা তামান্নাকে নিয়ে এসে বলে, নাবিলা তাকে মেরেছে। কিন্তু তার হাত কীভাবে কেটেছে আমি জানি। এরপর তামান্নাকে হাসপাতালে নিতে চাইলে ওরা আমাকে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দিয়েছে। ‘নাবিলা’ বহিরাগত কিনা- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সে কলেজের ডিগ্রিতে পড়ত। অন্যদিকে আঞ্জুমান আরা অনুর দাবি, তিনি মারামারির সময় ক্যাম্পাসে ছিলেন না। তার কোনো অনুসারীও নেই বলে দাবি করেন তিনি। মারামারির ঘটনার বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গায়ত্রী চ্যাটার্জীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ইডেন কলেজের হলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছিলাম। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে তারা মীমাংসার জন্য বসেছে। নাবিলা ইডেন থেকে পড়াশোনা শেষ করে হলে থাকতেন বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর