ক্যাসিনো কারবারি দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়া ধরা পড়েছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গতকাল ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় তাদের গ্রেফতার করে। সিআইডি জানায়, সেখানে শ্যামল ছায়া কমপ্লেক্স নামে ১০ তলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটের কামরায় স্বেচ্ছাবন্দী ছিলেন দুই ভাই। রাতে ঘুমোতেন টয়লেটের ফল্স রুফে। স্বেচ্ছাবন্দীর আড়াই মাসে তারা একবারের জন্যও বের হননি। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। নাপিতের পথ ধরে গোয়েন্দারা ঠিকই পৌঁছে যান সেই ফ্ল¬াটে। ফল্স রুম থেকে নামিয়ে নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন তাদের বিশ্বস্ত পুরনো কর্মচারী শেখ সানি মোস্তফা। তাকেও পাকড়াও করা হয়েছে। জানা গেছে, এনু আর রূপন ঘরের মধ্যেই চুল-দাড়ি কাটতেন। এ জন্য বাসায় সানির মাধ্যমে নাপিত নিয়ে আসা হতো। গোয়েন্দারা প্রথমে সানিকে অনুসরণ শুরু করে। পরে ওই কর্মচারীর বাসায় নজরদারি বাড়াতে সোর্স নিয়োগ করা হয়। কিছুদিন পর বাইরে থেকে নাপিতের আসা-যাওয়া চোখে পড়ে। সিআইডির কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ডিআইজি (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ক্যাসিনোর টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়া রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু, তার ভাই একই কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়া গ্রেফতার হয়েছেন। এ সময় নগদ ৪০ লাখ টাকা, ১২টি মোবাইলফোন, বাড়ির দলিলপত্র এবং ব্যাংকের কাগজপত্র জব্দ করা হয়। ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের শুরুর দিকে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনু-রূপন ও তাদের দুই সহযোগীর বাসা থেকে ৫টি সিন্দুক ভর্তি ৫ কোটির বেশি টাকা, ৮ কেজি সোনা (৭০০ ভরি) ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় মোট ৭টি মামলা হয়। ওই সময় এনু-রূপন এবং তাদের দুই সহযোগী হারুন অর রশিদ ও আবুল কালাম গা ঢাকা দেন। মামলাগুলোর মধ্যে মানি লন্ডারিং আইনের ৪টি মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। অভিযান ?শুরুর পর প্রথমে তারা কক্সবাজার যান। সেখান থেকে নৌকায় করে মিয়ানমার অথবা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। উপায় না পেয়ে তারা কেরানীগঞ্জে চলে আসেন। তাদের কর্মচারীর বাসায় তারা এতদিন অবস্থান করছিলেন। তাদের কাছে ৪৬ লাখ টাকা ছিল। এই টাকা দিয়ে তারা ভুয়া পাসপোর্ট করে ভারত হয়ে নেপাল, এরপর দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজ এবং ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকার কাগজপত্র পেয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা আছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আদালতে পাঠিয়ে তাদের রিমান্ডে আনা হবে। এদের পেছনের কারা শক্তি ছিল তা বেরিয়ে আসবে। মূলত নেপালিদের মাধ্যমে তারা ক্যাসিনোর আধুনিক সরঞ্জাম ঢাকায় নিয়ে আসে। তাদের যত সম্পত্তি, টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি সবই ব্ল্যাক মানির মাধ্যমে অর্জন করা। ‘বহিষ্কৃত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ ক্যাসিনো কান্ডে সম্পৃক্ত থাকলেও তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না’ জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সাঈদের নামে সিআইডিতে মানি লন্ডারিং মামলা নেই। তদন্ত চলছে। যদি কখনো নাম আসে তাহলে আমরা ছাড় দেব না।
শিরোনাম
- নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল
- কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন
- রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত
- রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
- আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
- র্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
- ‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’