শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিটি ভোটে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ

কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ খরচ ১৬ কোটি, নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ১৯ কোটি, আইনশৃঙ্খলা ব্যয় ২৫ কোটি টাকা

গোলাম রাব্বানী

সিটি ভোটে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। এবার শুধু প্রশিক্ষণ, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হচ্ছে ৬০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রায় ১৯ কোটি এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যয় হবে ২২-২৫ কোটি টাকা। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অর্ধ কোটির বেশি ভোটারের এ সিটিতে ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি।

বিগত ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ১৮.৫ কোটি টাকা। এবারে শুধু দুই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে তিন খাতে ব্যয় ধরা হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা। যদিও এই ব্যয় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।

ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, এবারে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানী বেড়েছে। অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেশি হচ্ছে। এর আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার টাকা সম্মানী ছিল। এবারে দুই হাজার, তিন হাজার ও চার হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ভোট কেন্দ্রের জন্য  একজন প্রিসাইডিং অফিসার, প্রত্যেক ভোটকক্ষের জন্য দুজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, দুই সিটি এলাকার নির্বাচন পরিচালনায় প্রায় ১৯ কোটি টাকা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তত ২২-২৫ কোটি টাকা এবং প্রশিক্ষণ খাতে অন্তত ১৬ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে। ভোট শেষে সব কিছু ব্যয় সমন্বয় করে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হতে পারে। এ জন্য অর্ধ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, তাদের ভাতা, প্রশিক্ষণ, ইভিএম ব্যবহার ও প্রচার; ভোট কেন্দ্রে সশস্ত্রবাহিনীর কারিগরি টিম; প্রায় ২৫ হাজার পুলিশ সদস্য, ১ হাজার এপিবিএন সদস্য ও ৩৫ হাজার আনসার সদস্য; বিজিবি-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাজেট; নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম; রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পরিবহন ও জ্বালানিসহ অনেক খাতে ব্যয় রয়েছে।

আগে ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে এলেও এবার প্রথমবারের মতো পুরো ঢাকা মহানগরে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এ কর্মযজ্ঞে আগের সনাতনী ব্যালট পেপার না থাকলেও কেন্দ্রভিত্তিক প্রায় ৩৫ হাজার ইভিএম উপযোগী রাখা, এ নিয়ে প্রশিক্ষণ, প্রচার ও উপকরণ সংগ্রহে ব্যয় হচ্ছে বেশ। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, তুলনামূলকভাবে গেল নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানীভাতা দ্বিগুণ রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সব খাতে ব্যয় সমন্বয় রাখা হচ্ছে। পাঁচ বছর আগের ভোট ব্যয়ের তুলনায় সব খানে দ্বিগুণ ব্যয় হচ্ছে। ইভিএম পর্যাপ্ত থাকায় নতুন করে কোনো খরচ যুক্ত হচ্ছে না বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা। ইসির একজন কর্মকর্তা জানান, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন পরিচালনায় প্রায় ১৮.৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর সিংহভাগই বরাদ্দ থাকবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য। আগামী ২২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বৈঠকের পরই নিরাপত্তাবিষয়ক বরাদ্দ চাহিদা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। সাধারণত পরিচালনার দ্বিগুণ ব্যয় থাকে নিরাপত্তা খাতে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর