মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পি কে হালদারসহ ২০ জনের সম্পদ পাসপোর্ট হিসাব জব্দই থাকছে

খালেদ-শামীমের অভিযোগ আমলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ২০ জনের সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদেশে তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে, যুবলীগ নেতা জি কে শামীম এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডে বিনিয়োগকারী দুইজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয় আদালত। এর আগে ২১ জানুয়ারি পি কে হালদারসহ ২০ জনের সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পি কে হালদার ছাড়া বাকি ১৯ জন হলেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জি, পাপিয়া ব্যানার্জি, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী। অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শামীম ও খালেদের চার্জশিট গ্রহণ : আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, রাজধানীতে ঠিকাদারির মাফিয়া কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। পাশাপাশি জি কে শামীমের মামলাটি ২৩ মার্চ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করে অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এবং খালেদের মামলাটি ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

 এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে এবং ১৭ নভেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র‌্যাব। জানা গেছে, গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। শামীমের কাছে একটি অস্ত্রও পাওয়া যায়। এরপর ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ ও খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, ১৮ সেপ্টেম্বর আটক করা হয় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুইটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে ৫৮২ পিস ইয়াবা জব্দ করে র‌্যাব। এছাড়া তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়। বর্তমানে এই দুই আসামি কারাগারে আটক রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর