আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বকাপ জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কথার রেশ ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত পরপর চারবার চ্যাম্পিয়ন, তাদের হারানো বেশ কঠিন ছিল। যখনই কেউ জিতে এসেছেন তখনই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গণসংর্বধনা ওদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক বিজয়ে আমাদের তরুণ টাইগারদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ভারতের মতো বিশাল শক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এ বিজয় আমরা উদযাপন করব। তিনি আরও বলেন, ‘বিজয়ী বীরদের গণসংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আশা করছি তারা ফিরে এলে সুবিধামতো সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। কারণ আমরা স্বাধীনতার পর এবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
ক্রিকেট দলকে প্লট দেওয়ার দাবি : বিশ্বে লাল সবুজের পতাকার সম্মান এনে দেওয়ায় বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের তরুণদের বিশ্বকাপ বিজয়ের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে গতকাল পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দাবিগুলো তুলে ধরেন সংসদ সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত সবাই তাদের বক্তব্যকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনাকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলক হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ বেশিরভাগ সংসদ সদস্য ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যুব বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেরা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাতে দুনিয়ার মানুষ আমাদের চিনতে পেরেছে। তারা ঢাকায় গণসংবর্ধনা ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যথোপযুক্ত সম্মানী দিয়ে তাদের যেন সম্মানিত করা হয়, সেটাও সবাই চায়।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, যুব বিশ্বকাপে আকবর বাহিনীর বিজয়ের মাধ্যমে ৪৯ বছরের আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। সেসময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, বাঙালিরা এগিয়ে যাবে, বাঙালিরা কখনো মাথা নত করবে না। তিনি খেলোয়াড়দের শিক্ষা-জীবনের যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নির্বাহসহ সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্লটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
গ্রাম থেকে খেলোয়াড়দের তুলে আনতে তৃণমূল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই যে বিশ্বকাপ বিজয়ের নায়ক ক্যাপ্টেন আকবর, তার বাড়ি কিন্তু পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রাম, আবার পঞ্চগড়ের খেলোয়াড়ও রয়েছে। আমাদের বিকেএসপিতে তৃণমূলের যে প্রশিক্ষণ সেটা চমৎকার। এখানেই নতুন-নতুন ক্রিকেটার সৃষ্টি হয়।