রাজধানীর মহাখালীতে সেতু ভবনের সামনে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই নারী নিহত হয়েছেন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের একজন সৈয়দা কচি (৩৮)। তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভার পাচুলিয়া বাজিতপুর এলাকার সৈয়দ ফজলুল হকের মেয়ে। আরেকজন সোনিয়া আক্তার (৩২)। তিনি ভোলা সদর উপজেলার নুরুল আমিনের মেয়ে। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম মিয়া বলেন, ‘এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তবে কোন যানবাহনের ধাক্কায় ওই দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে, তা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য স্থান ও আশপাশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। দুই নারীর পাশে পড়ে থাকা স্কুটিতে প্রেস লেখা থাকলেও আসলে তারা কেউ সাংবাদিক নন।’ ঢামেকে কচির মামা অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি মিরপুর-১ নম্বরে থাকেন। রাতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কচির নিউজ ও ছবি দেখে একজন তাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এরপর গতকাল ভোরে ঢামেক মর্গে এসে কচির লাশ শনাক্ত করেন। কচি উত্তরায় পার্ল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নামে আন্তর্জাতিক মানের কসমেটিকস পণ্য বিপণন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের টেরিটরি অফিসার পদে চাকরি করতেন। বাণিজ্য মেলায়ও তাদের স্টল ছিল। গত সাত-আট বছর ধরে কচি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কচি অবিবাহিতা ছিলেন। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। কল্যাণপুরের একটি বাসায় এক রুমে ভাড়া থাকতেন। নিজের স্কুটারেই চলাফেরা করতেন। ঢামেক সূত্র জানান, সোনিয়া তার বান্ধবী। তিনিও চাকরিজীবী। দীর্ঘদিন ধরে তারা একসঙ্গে শাহআলী থানার পাশেই থাকতেন। কচি সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যেতেন। রাত ১১টার আগে বাসায় ফিরতেন। সোনিয়া অনলাইনে কসমেটিকের ব্যবসা করতেন। কচি মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেলে ‘পাঠাও’ চালাতেন। সোনিয়ার মা মনোয়ারা বেগম জানান, সোনিয়া আর কচি দুজনে একসঙ্গেই থাকতেন সব সময়। কচিকেও তিনি মেয়ের মতো দেখতেন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টায় মোবাইল ফোনে সোনিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়। তখন সোনিয়া তাকে জানান তারা বনানীতে তাদের লিলি নামে এক আপুর বাসায় আছেন। তাদের দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। কয়েক ঘণ্টা পর সোনিয়ার মোবাইল থেকে কল আসে। অন্য প্রান্ত থেকে জানানো হয়, তিনি একজন বাসযাত্রী, মোবাইল ব্যবহারকারী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের ধাক্কা দিয়েছে। পরে তিনি খুঁজতে খুঁজতে হাসপাতালে এসে লাশ পান। সোনিয়া ভারতে আসা-যাওয়া করতেন ব্যবসার কাজে। ভারতে মহসিন নামে এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়ে নয় মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। মাঝে মাঝে ভারতে মহসিনের সঙ্গে থাকতেন। মাসখানেক আগে ঢাকায় আসেন তিনি। তার স্বামীরও আসার কথা ছিল। করোনা আতঙ্কের জন্য আসতে পারেননি।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ