বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বিদেশে প্রাণ গেল ৬১ বাংলাদেশির

আক্রান্ত ২ শতাধিক, নিউইয়র্কে ভয়াবহতা বাড়ছেই

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের সরকারি কোনো পরিসংখ্যানও নেই। তবে প্রবাসীদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬১ বাংলাদেশির মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে ৩৯ বাংলাদেশি মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে নিউইয়র্কে ৩৫ জন, মিশিগানে ৩ জন ও নিউজার্সিতে ১ জন মারা গেছেন।  এ ছাড়া  যুক্তরাজ্যে ১১, ইতালিতে ২, কাতারে ২, সৌদি আরবে ৩, স্পেনে ১, সুইডেনে ১, লিবিয়ায় ১ এবং গাম্বিয়ায় ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনাবিষয়ক সেলের প্রধান অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ডা. খলিলুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশিরা উদ্বেগজনক হারে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বিভিন্ন কারণে সরকারি সূত্রে এসব তথ্য আমরা পাচ্ছি না। বিভিন্ন দেশের আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে সেসব তথ্য পাওয়াও সম্ভব নয়। তবে নানা সূত্রে আমরা তথ্য পাচ্ছি যে, কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই শতাধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশের বাইরে ২ শতাধিক বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইতালিতে ৪০, স্পেনে ২৩, সিঙ্গাপুরে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন। কানাডায় ২০ জনের মতো বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনাবিষয়ক সেলের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সাত বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর মধ্যে ইতালি ও কাতারে দুজন করে এবং সৌদি আরব, স্পেন ও সুইডেনে একজন করে মোট সাতজন মারা গেছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের করোনাবিষয়ক সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব খলিলুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত মিশনের মাধ্যমে ওই সাতজনের মারা যাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জেনেছি। কোনো দেশের সরকার মৃত ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে তথ্য জানালেই আমরা তা জানছি। তা না হলে নিশ্চিতভাবে আমাদের পক্ষে তথ্য পাওয়াটা দুরূহ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির পর তার স্বজনদের হাসপাতালে যাওয়া-আসার কোনো সুযোগ নেই। রোগী সুস্থ হলে কিংবা রোগী মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের স্বজনদের খবর পাঠাচ্ছেন। আর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে এ নিয়ে ওই দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য জানায় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর