সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের শিল্প ও কৃষি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। একইভাবে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগকে কীভাবে ধরে রাখা যায় সে ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা গত ১০ বছর ধরেই উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছি। দারিদ্র্য কমেছে। মানুষের আয় বেড়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু এই কভিড-১৯-এর ধাক্কায় এসব হিসাব সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বলছে, আগামী বছর ২ থেকে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। তবে আমি মনে করি আগামী বছর হয়তো ৫ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হতে পারে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে এবং কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ ধরে রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। সারা বিশ্বেই এখন বিপর্যস্ত পরিস্তিতি বিরাজ করছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক শ্রমবাজারের উন্নয়ন করতে হবে। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হতে হবে। আগামী বছরের বাজেটেও এসব বিষয় প্রতিফলিত হতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই কভিড-১৯ মহামারী কেটে যাওয়ার পর মানুষ যদি আবার কাজ করতে পারে তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্যের যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা পুষিয়ে দিতে সরকার ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন হতে হবে। প্রকৃতপক্ষে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পর্যন্ত এই প্রণোদনা পৌঁছাতে হবে। আর আমাদের কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এ খাতের জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ থাকতে হবে। এ খাতে গবেষণা বাড়াতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোর দক্ষতা ও সুযোগ-সুবিধাসহ ডাক্তার নার্স বাড়াতে হবে। এ জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। একইভাবে অর্থনীতির স্বার্থে আসন্ন যোগাযোগ খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিজ উৎপাদনকে গুরুত্ব দিতে হবে। আবার কৃষক যেন তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় সে ব্যবস্থাও থাকতে হবে।