শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিমাণ শিক্ষার্থী অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছে চাকরির বাজারে সে পরিমাণ চাহিদা আছে কিনা তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। যারা এসব ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। সরকার আর এ রকম শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না। এ জন্য সরকার দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মমুখী শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। গতকাল বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) আয়োজনে এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করেন। এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম মো. হাসিবুল আলম এতে স্বাগত বক্তব্য ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ, আইএলওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি টওমো পুটিয়ানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও প্রতিনিধি, ইনোভেটর বক্তব্য দেন। বক্তব্যে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, টেকনিক্যাল শিক্ষা না থাকায় অনেক উচ্চশিক্ষার ডিগ্রিধারীও বেকার থাকছেন। সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অবস্থান করছি। এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই।
শিল্প বিপ্লবের ফলে দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। পরিবর্তিত শ্রমবাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও দক্ষতার সমন্বয় করে আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।