শিরোনাম
বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

তিন কিশোরের মরদেহে একই আঘাত, মৃত্যু হেড ইনজুরিতেই

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দী অবস্থায় নিহত তিন কিশোরের শরীরে একই ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তিন কিশোরের মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেন, যে দলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারও ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক বলেন, নিহত তিনজনের পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হেড ইনজুরিতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আর আঘাতজনিত কারণে যেহেতু মৃত্যু, কেউ না কেউ তাদের আঘাত করেছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত দল রিপোর্ট তৈরি করে সোমবার বিকালে তা যশোরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠিয়ে দেন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই তা পুলিশ সুপারের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্মম পিটুনিতে সেখানে বন্দী থাকা পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), রাসেল সুজন (১৮) ও নাইম হোসেন (১৭) নিহত হয়। আহত হয় ১৫ কিশোর। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি কিশোরদের দুই গ্রুপের মারামারি বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আহতদের বক্তব্য ও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে, কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্মম পিটুনিতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে নিহত রাব্বির বাবা রোকা মিয়া বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই কেন্দ্রের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সমাজসেবা অধিদফতর গ্রেফতার পাঁচ কর্মকর্তাকেই সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এদিকে এ ঘটনায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুদ গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় তার স্থলে সমাজসেবা অধিদফতরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলনার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে পদায়ন করা হয়েছে। গতকালই তিনি কাজে যোগদান করেছেন বলে যশোর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর