প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, শীতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা আছে। কয়েকটি অনুঘটকের কারণে শীতে সংক্রমণ বাড়তে পারে। আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে খুব দ্রুত ড্রপলেট শুকিয়ে যাবে। মাস্ক না পরলে কাশি, সর্দির সঙ্গে আসা জীবাণু বাতাসে বেশি সময় ভাসতে থাকবে।
গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শীতে ধুলা বেড়ে যায়। ধুলাও জীবাণুর বাহক হিসেবে কাজ করে। ঘর, বাসের দরজা-জানালা বন্ধ থাকলে জীবাণু ভেসে বেড়াবে, মাটিতে পড়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না। ঘরের ভিতরে বেশি মানুষ থাকলে আরও বেশি জমবে, ভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়ে যাবে। সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে; যা শীতে সংক্রমণ বাড়ার একটি কারণ। তাই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। সুস্থ থাকতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আবহাওয়ার সঙ্গে করোনার সম্পর্কসংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না পাওয়া গেলেও শীতে শারীরিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। ফ্লু, নিউমোনিয়া শীতে দেখা দেয়। এর মধ্যে করোনা হানা দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। চীনে প্রথম করোনা দেখা দিয়েছিল শীতে। যদিও গ্রীষ্মকালেও অনেক দেশে করোনা তা-ব চালিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।