রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ওসি-ডিসি না শুনলে আমার কাছে আসুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওসি-ডিসি না শুনলে আমার কাছে আসুন

আপনার এলাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) যদি আপনাদের অভিযোগ না শুনতে চান, তাহলে আমার কাছে আসুন। আমার দুয়ার সবার জন্য সব সময় খোলা। প্রয়োজনে আমি নিজেই আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যাব। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম       গতকাল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ কয়েকজনকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কিছু দোষত্রুটি থাকলেও সর্বত্রই নিরলসভাবে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা থেকে করোনা মহামারীতে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা দিয়েছে।

একই সঙ্গে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে করণীয় সব ধরনের ব্যবস্থা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ আমরা বিনির্মাণ করতে পারব- যেখানে মাদক থাকবে না, আমার সন্তান ঘর থেকে বের হলে ভয়ে আমার বুক কাঁপবে না যে সন্তান আবার ঘরে ফিরে আসবে কি না? আমরা চাই, পুলিশের খারাপ কাজের প্রতিবাদী কণ্ঠটা আপনারই হোক। আপনিই ওই এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন। মানুষের জন্য কাজ করবেন।

ডিএমপিপ্রধান বলেন, ঢাকা শহরে ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার পুলিশ সদস্য দিয়ে আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু এই নিরাপত্তা যথেষ্ট বলে আমরাও মনে করি না। সুদৃঢ় নিরাপত্তার জন্য দরকার পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা। এ কারণেই গত পাঁচ বছর ধরে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সেখানে এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাধারণ জনগণ পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এর ফলে যেটা হবে- আপনাদের থেকে অভিযোগগুলো সহজেই আমাদের কাছে আসবে। আর আমরা আপনাদের সঙ্গে নিয়েই সেগুলোর সমাধান করব। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশকে ভয় না পেয়ে যে কোনো সাহায্যের জন্য আসতে পারে, সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পুলিশের উপস্থিতি নেই জীবনের ও সমাজের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই। পুলিশের প্রয়োজন সর্বত্র আছে। অগ্রণী হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করছে। শান্তি, কঠিন সংকটে, দুর্র্ধর্ষ, দুর্ঘটনার সময় পুলিশ সামনের সারিতে থেকে আমাদের জন্য কাজ করছে। পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি ও দর্শনে পরিবর্তন এসেছে। সে কারণে তাদের উৎসাহ দেওয়া ও ভালো কাজকে সামনে আনা আমাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

প্রসঙ্গত, গতকাল দেশব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০’ উদ্যাপন করেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’।

সর্বশেষ খবর