বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে যুবক খুন

১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে শিমুল মিয়া (২৭) নামে এক যুবককে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া বাজারে ফেলে রাখার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়। সোমবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপি সদস্য ও নিহতের ভাই রায়হান  মিয়া বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত শিমুল মিয়া বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ৭ নম্বর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার শিমুল মিয়া ধর্ষণ মামলার হাজিরা দিতে বগুড়ার আদালতে যান। আদালতে হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সদরের টেংরাবন্দরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামলে চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাসে তাকে টানাহেঁচড়া করে তুলে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে শিমুলকে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী লাশ ফেলে রেখে যায় তারা। এ সময় পথচারীরা রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী শিমুলের বাঁচার আকুতি ও গোঙানি শুনে তাকে উদ্ধার করে ফুলপুকুরিয়া বাজারে একটি পল্লীচিকিৎসকের কাছে নিলে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিহার ৭ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামকে। নিহতের বড়ভাই ও মামলার বাদী ইউপি সদস্য রায়হান ইসলাম বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে চেয়ারম্যান মহিদুল আমার ভাইকে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে ব্যবহার করত। আমার ভাই সেগুলোর প্রতিবাদ করে সরে যায়। এ কারণে চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তার বিরুদ্ধে ৯-১০টি মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সর্বশেষ তাকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়।  গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, শিমুলকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। তার একটি পা কোপানো ও ভাঙা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আসামি গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর