বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ফেব্রুয়ারিতে যারা পাবেন ভ্যাকসিন

জয়শ্রী ভাদুড়ী

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে এলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম। দুই ডোজের এই টিকা দেওয়ার নিয়মে পরিবর্তন আনায় প্রথম চালানের ৫০ লাখ টিকা দেওয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে খসড়া তালিকা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। নতুন নিয়ম জানার পর টিকাদান পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে আরও টিকা চলে আসবে।

কভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ৬ লাখ, ২ লাখ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সরাসরি করোনায় দায়িত্ব পালন করা ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৯ জন, সশস্ত্র বাহিনীর ৩ লাখ ৬০ হাজার সদস্য; বিচার বিভাগ, মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের ৫ হাজার শীর্ষ কর্মকর্তা (সংখ্যা আরও কিছু বাড়বে), সাংবাদিকদের মধ্যে যারা সরাসরি করোনার খবরাখবর সংগ্রহে কাজ করেছেন এমন ৫০ হাজার, সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত ১ লাখ ৫০ হাজার জন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ষাটোর্ধ্ব বয়সের ৫ লাখ ৪১ হাজার জন, দাফন ও সৎকারকর্মী ৭৫ হাজার; সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অগ্নিনির্বাপক কর্মী ৪ লাখ, বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজার, বিদেশগামী অদক্ষ শ্রমিক ১ লাখ ২০ হাজার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৪ লাখ, ব্যাংক কর্মী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ জন, ৭৭-৭৯ বছরের ১ লাখ ১০ হাজার ৩৬৫ জন, ৭৪-৭৬ বছরের ৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ জন, ৭০-৭৩ বছরের ২ লাখ ৬৮৭ জন, ৬৭-৬৯ বছরের ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ জন, ৬৪-৬৬ বছরের ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ জন, জাতীয় দলের খেলোয়াড় ২১ হাজার ৮৬৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণে দেশের সব জেলা ও সিটি করপোরেশনের ইপিআই স্টোরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে কোল্ড চেইন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিএডিসি ও অন্যান্য জায়গা থেকে কোল্ড রুম ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ৬টি ধাপে সরাসরি বাংলাদেশের নির্ধারিত জেলার ইপিআই কোল্ড স্টোরসমূহে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঔষধ প্রশাসনের অধীনে এ বিষয়ক একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। গত দুই দিন জাতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মাঠপর্যায়ের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হবে ১৬-১৭ জানুয়ারি। জেলার প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হবে ১৮-১৯ জানুয়ারি, জেলা/ সিটি করপোরেশন পর্যায়ে জেলা ও উপজেলার প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ  হবে ২০-২৪ জানুয়ারি, উপজেলা পর্যায়ে প্রথম সারির সুপারভাইজার ও ভ্যাকসিন দানকারীদের প্রশিক্ষণ হবে ২৩-২৬ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর