রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কলকাতাসহ চার স্থানে ভারতের রাজধানী চান মমতা ব্যানার্জি

কলকাতা প্রতিনিধি

কলকাতাসহ চার স্থানে ভারতের রাজধানী চান মমতা ব্যানার্জি

কলকাতাকে ভারতের রাজধানী করার দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর প্রশ্ন- শুধু রাজধানী দিল্লি কেন? ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভারতের চারটি প্রান্তে চারটি রাজধানী করা উচিত। এর মধ্যে কলকাতা হবে একটি। 

গতকাল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বীর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে একটি অনুষ্ঠানে মমতা এ দাবি তোলেন।

মমতা বলেন- ‘কলকাতা এক দিন ভারতের রাজধানী ছিল। এই কলকাতায় বসে ব্রিটিশরা ভারত চালাত। এমনি এমনি কলকাতাকে রাজধানী নির্বাচিত করা হয়নি। আমি তো মনে করি ভারতের একটা রাজধানী কলকাতা হতে হবে। তার কারণ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্মদাতা ছিল বাংলা, বিহারসহ এসব জায়গায়। কলকাতা বেলেঘাটা গান্ধী ভবনে এসে  জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী আন্দোলন করতেন। নবজাগরণ শুরু হয়েছে বাংলা থেকে। বিধবা বিবাহ প্রচলন, বাল্যবিবাহ রোধ, সতীদাহ প্রথা নিবারণ- প্রতিটি সামাজিক সংস্কারের জন্ম হয়েছে বাংলার মাটি থেকে। তাই এই বাংলা কোনো অবহেলা সহ্য করবে না। বাংলা কখনো মাথা নিচু করতে জানে না। এই বাংলা মাথা উঁচু করে চলতে জানে। নেতাজির নাম বললেই আমার হৃদয়ে একটা আবেগের জায়গা জন্ম  নেয়।’ নেতাজির জন্মবার্ষির্কী উপলক্ষে গতকাল বিকালে কলকাতায় পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতার নেতাজি ভবনের সংগ্রহশালা ঘুরে দেখার পর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দুটি গ্যালারির উদ্বোধন করবেন তিনি। এ ছাড়াও জাতীয় গ্রন্থাগারের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি। এর মধ্যে ভিক্টোরিয়ায় মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে মোদির সঙ্গে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ঠিক তার আগেই মমতার ‘চার রাজধানী’ ঘোষণায় রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন- ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন একজন ইতিহাস, বিস্ময়, আবেগ। তিনি কেবল বীরযোদ্ধা ছিলেন তাই নয়, তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ, যোজনা কমিশন ও ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানের স্রষ্টাও ছিলেন তিনি। অথচ আজ ওরা (বিজেপি) কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেই যোজনা কমিশনকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে। তার বদলে নীতি আয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কথা বলার জায়গা নেই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সবটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো কথা বলার জায়গা নেই। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামাঙ্কিত বন্দরের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে।’ নেতাজির জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যে ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী মনুমেন্ট’ করা হবে বলেও এদিন ঘোষণা দেন মমতা। সেই সঙ্গে নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা, নেতাজির মৃত্যুরহস্যের উন্মোচন করারও দাবি তোলেন মমতা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর