বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
একান্ত সাক্ষাৎকারে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী

বড় ধরনের বিনিয়োগ কখনো এক দিনে হয় না

মানিক মুনতাসির

বড় ধরনের বিনিয়োগ কখনো এক দিনে হয় না

বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেছেন, ‘মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব থেমে গেলেও আমরা কিন্তু থেমে থাকিনি। কোনো বাধাই আমাদের উন্নয়ন ঠেকাতে পারেনি। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের জন্য বেজা করোনাকালেও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ধৈর্য ধরুন, পুরো বাংলাদেশকে পাল্টে দেবে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাস্তবায়নাধীন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী বাংলাদেশকে অন্তত ১০০ বছর এগিয়ে নিয়েছে। আইএমএফ, জাইকা, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থাদের দৃষ্টিতে করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্থনীতি ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। এর জন্য বেসরকারি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর বেসরকারি খাতকে প্রসারিত করতে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিরামহীনভাবে কাজ করছে বেজা। করোনা মোকাবিলায় বেজা থেমে থাকেনি। বেসরকারি খাতের বিকাশে বেজা বিশেষ ভূমিকা রাখছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বেজা নিরলসভাবে কাজ করছে। যারা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না, তাদের জন্য তথ্য হলো, ১০০টি জাপানি কোম্পানি তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে জাপানি ইকোনমিক জোনে। এটা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে। এ ছাড়া তাদের জন্য আরও তথ্য হলো, বড় ধরনের পরিবর্তন কখনো এক দিনে হয় না। ঠিক তেমন বড় ধরনের বিনিয়োগ কখনো এক দিনে আসে না। এর জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়। যেমন একটা মানবশিশু জন্ম নিতেও কিন্তু অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি বিনিয়োগ হুট করেই চলে আসে না। এর জন্য সময় দিতে হয়। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’ গতকাল নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : প্রথমে আপনি আমাকে বলুন, বেজার সামগ্রিক কার্যক্রম কেমন চলছে। ইকোনমিক জোনগুলোর কাজের সর্বশেষ অবস্থা বর্ণনা করুন।

পবন চৌধুরী : দেখুন, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব থেমে গেলেও আমরা কিন্তু থেমে থাকিনি। কোনো বাধাই আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম ঠেকাতে পারেনি। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের জন্য বেজা করোনাকালেও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। ইকোনমিক জোনগুলোর কাজের অগ্রগতি অবশ্যই সন্তোষজনক। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে ৩০ হাজার একরের বেশি জায়গাজুড়ে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে, এর ব্যাপক অগ্রগতিও রয়েছে। অনেকগুলো জোনে স্থাপিত কারখানা ইতিমধ্যে উৎপাদনে গিয়েছে। আরও কয়েকটি জোনের শিল্প-কারখানা আগামী বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর সব শেষ অবস্থা সম্পর্কে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

পবন চৌধুরী : বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী হবে একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প সিটি। এখানে বন্দরসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। শুধু তা-ই নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ বন্দরের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলোর জন্য পৃথক পৃথক জেটিও থাকবে এখানে। সবুজ শিল্পের বিপ্লব ঘটবে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে। এ শিল্পনগরীর দুটি ব্লকের প্রায় এক হাজার একর জায়গাজুড়ে যেসব শিল্প গড়ে উঠবে, এর সবই হবে শতভাগ সবুজ কারখানা (গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি), যা হবে পরিবেশবান্ধব। এখানকার একেকটি সরোবরের আয়তন হবে ২০০ একর। এটি দেশের শিল্প খাতের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করবে। একই সঙ্গে এটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় ইকোনমিক জোন, যার মোট আয়তন ৩৩ হাজার একর। এতে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের। এ শিল্পনগরী ঘিরে আশপাশের এলাকাগুলোতেও গড়ে উঠছে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর সঙ্গে যুক্ত হবে চট্টগ্রামে নির্মিতব্য বে-টার্মিনাল। এতে সহজ হবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। বিশেষ করে এই শিল্পনগরীতে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি রপ্তানি হবে বে-টার্মিনাল দিয়ে। এখন পর্যন্ত এ শিল্পনগরীতে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। এটি হবে একটি বিস্তৃত শিল্পনগরী। এখানে সব ধরনের ভারী শিল্প স্থাপিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যাপক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শিল্পনগরীটির অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর। এটি বাস্তায়িত হলে এখানেই অন্তত ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া সারা দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের রপ্তানি আয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির প্রসার ও জিডিপিতে যুক্ত করবে নতুন মাত্রা। বসুন্ধরাসহ দেশ-বিদেশের বড় বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করছে। চলতি বছরের মধ্যে অনেক কোম্পানিই উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বর্তমান বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

পবন চৌধুরী : দেখুন, আপনি যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, সেগুলোর ব্যাপারে পরিষ্কার কথা হলো, এগুলো কিন্তু এক দিনে হয় না। এগুলোর জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। আমরা ১৯৮০ সালের পর থেকে ৪০ বছরে ইপিজেড করেছি কয়টা? হাতে গোনা কয়েকটা। আর এরপর মাত্র ৫, ৭ বা ১০ বছরে সবকিছু রাতারাতি পাল্টে যাবে? এটা হয় না। এটার জন্য সময় দিতে হবে। আর অর্থনীতি বিষয়ে তো আইএমএফ, জাইকা, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্থনীতি ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। এর জন্য বেসরকারি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর বেসরকারি খাতকে প্রসারিত এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিরামহীনভাবে কাজ করছে বেজা। বিশ্বের অনেক দেশই যেখানে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চলে গেছে, সেখানে কিন্তু আমরা ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : মহামারী করোনায়ও আমরা ভালো করছি। যেখানে বিশ্ব থমকে আছে, সেখানেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

পবন চৌধুরী : দেখুন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশই বিপর্যস্ত। কিন্তু আইএমএফ, জাইকা, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্থনীতি ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। এর জন্য বেসরকারি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর বেসরকারি খাতকে প্রসারিত করতে ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিরামহীনভাবে কাজ করছে বেজা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বেজা নিরলসভাবে কাজ করছে। যারা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না, তাদের জন্য তথ্য হলো, ১০০টি জাপানি কোম্পানি তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে জাপানি ইকোনমিক জোনে। একসময় জাপানের গাড়ি এখানেই উৎপাদিত হবে। এটা আর বেশি দূরে নয়। এটা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকার-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বেজার লক্ষ্য বাস্তবায়নে কতটা সহায়ক বলে আপনি মনে করেন?

পবন চৌধুরী : এসব নিয়ে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। সবই সম্ভব হয়েছে, হচ্ছে। এটা স্বীকার করতেই হবে, একটা সময় আমাদের বিদ্যুতের অনেক ঘাটতি ছিল। অবকাঠামো বলতে তেমন কিছু ছিল না। এমনকি মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী হবে এটা প্রথম দিকে অনেকে বিশ্বাসই করেননি। এখন কিন্তু সেটি দৃশ্যমান। আপনি সেখানে গেলে চিনতেই পারবেন না যে কোথায় এসেছেন। এসব বাস্তবায়ন সরকারের নীতি-পলিসির সহায়তা ছাড়া মোটেই সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে জাদুকরি বিষয় কী বলে আপনি মনে করেন, যার কারণে কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারে না?

পবন চৌধুরী : দেখুন, এখানে একটা বিষয় খুব পরিষ্কার। আর তা হলো আস্থা, বিশ্বাস এবং ডেডিকেশন। আমরা কতটা উন্নয়ন করতে পেরেছি সেটি আমলে না নিয়ে ভাবুন তো আমরা আজ কোথায় যেতে পারতাম! স্বাধীনতার ৪৮ বা ৫০ বছরে এসে আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করছি। এটা তো আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এর পরও বলতে হয়, এসব কিন্তু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই। তিনি আসলে দেখাতে চেয়েছেন, আমরা কী করতে পারি। তার একটা প্রবল ইচ্ছা ছিল যে আমরা সক্ষম। এখন তা প্রমাণ হয়েছে, যার মাধ্যমে বেজাও একটি আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সম্প্রতি একটি ইকোনমিক জোনের বাস্তবায়নকাল দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। এটি কেন করতে হলো বলে আপনি মনে করেন?

পবন চৌধুরী : এটি আসলে আপনি ভারতীয় কোম্পানিটির কথা বলছেন। সেটি তাদের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় রয়েছে। তারাও পৃথকভাবে বন্দর স্থাপন করতে চান। কিন্তু আমরা তো সবাইকে পৃথক পৃথক বন্দর দিতে পারব না। এখানে জেটি হতে পারে। আমরা সেটি নিয়েও কথা বলেছি। এসব কারণেই মূলত এর বাস্তবায়নকাল পেছানো হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি কি মনে করেন, করোনা বিদেশি বিনিয়োগ ধরার জন্য বেশ ইতিবাচক ছিল? আমরা সে সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পেরেছি?

পবন চৌধুরী : যারা এই অভিযোগ করেন যে বিদেশি বিনিয়োগ আমরা ধরতে পারছি না, তাদের জন্য তথ্য হলো, বড় ধরনের পরিবর্তন কখনো এক দিনে হয় না। এটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়। যেমন একটা মানবশিশু জন্ম নিতেও কিন্তু অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমন বিনিয়োগ হুট করেই চলে আসে না। এর জন্য সময় দিতে হয়। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। যে কোনো স্রোত ওপর থেকে যেমন দেখা যায়, স্রোতের ভিতরটা তেমন থাকে না। কারণ স্রোতের নিচের যে স্রোতটা থাকে, সেটি থাকে উল্টো দিকের। সেটি কিন্তু দেখা যায় না। আমরা সেই কাজটাই করছি। আমরা দৃশ্যমান হওয়ার খুব কাছাকাছি এসে গেছি। ফলে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। শুধু তাৎক্ষণিক রান্না করা খাবার চাইলেই হবে না। মজাদার খাবার খেতে হলে রান্নার জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে। শিল্পায়নের জন্য সময় দিতে হবে। এর জন্য তাড়াহুড়ো করলে চলবে না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বেজার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

পবন চৌধুরী : দেখুন, পার্বত্যাঞ্চলের সবচেয়ে কম অপরাধ সংঘটিত হয় বান্দরবানে। ফলে বান্দরবানকে ঘিরে নানা ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নানা ধরনের বাধা আসে। এর জন্য আমাদের আগে মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অনেক সময় প্রকৃতিকে অক্ষত রেখেই উন্নয়ন করা যায়। আবার কখনো কখনো প্রকৃতিকেও পরিবর্তন করতে হয়। এই ধরুন আমরা নদী খনন করি। সেখানে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতেই সেটি করা হয়। প্রকৃতির কাছে গিয়ে ইট-পাথর দিয়ে দালান তোলা মানেই কিন্তু প্রকৃতির প্রতি অন্যায় করা নয়। ফলে এটার জন্য প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি করোনাকালেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইকোনমিক জোনের নির্মাণযজ্ঞ দেখে বেড়িয়েছেন। বেজার কারণে অল্প কয়েক বছরেই দেশে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার কোনো অতৃপ্তি আছে কি না?

পবন চৌধুরী : এখানে বলতে হয়, আপনি যখন কাজের মানুষ হবেন তখন আপনার কোনো তৃপ্তি থাকবে না। সন্তুষ্টিও থাকবে না। আপনি শুধুই কাজ করতে চাইবেন। কাজ করতে গিয়ে আমি করোনার মধ্যেও প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি। এটা অবশ্যই আমার কাজের জন্য বিরাট কোনো সাফল্য নয়। কারণ এটাই আমার দায়িত্ব।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।

পবন চৌধুরী : আপনাকেও ধন্যবাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনকেও ধন্যবাদ।

সর্বশেষ খবর