শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় মারা গেলেন এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

করোনায় মারা গেলেন এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী

সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটসহ দেশ ও বিদেশে পরিচিত মহলে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব জুলহাস আহমদ বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি কভিড-১৯-এর টিকা নিয়েছিলেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও কিছু দিন ধরে তিনি অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। ৭ মার্চ রাতে মাহমুদ উস সামাদ সিলেট থেকে ঢাকায় আসেন। এ সময় তিনি অসুস্থতা বোধ করায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৮ মার্চ সকালে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর বিকালে করোনা পজিটিভ ফল আসে। এর পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই গতকাল বেলা দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর লাশ গতকাল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। আজ বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে লাশ নিয়ে আসা হবে গ্রামের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। বিকাল ৫টায় ফেঞ্চুগঞ্জ কাশিম আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ এবং বর্তমান বালাগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ সংসদীয় আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য পদে এবং ২০০১ সালে একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তবে ওই দুটি নির্বাচনেই তিনি পরাজিত হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন এবং পরবর্তী সব কটি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ আসনে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ বছর ধরে তিনি শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন।

সিলেটের জনপ্রিয় এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। শোক জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটির মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. সুয়েব, সিলেট সিটির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর