হেফাজতে ইসলামের মতো ধর্মব্যবসায়ী দলের ওপর ভর করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। গতকাল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে হেফাজত কর্মীরা। তারা কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরও হামলা চালায়। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এবার আমরা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব। তিনি বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গানপাউডার থাকার কথা নয়। এই গানপাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন আবার নাশকতামূলক কর্মকান্ডে গানপাউডারের ব্যবহার দেখে পরিষ্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। তারাই এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে। দেশে তো বিএনপির সাংগঠনিকভাবে এমন কোনো তৎপরতা নেই, যেটা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে। ওদের নিজেদের সক্ষমতা নেই, ওরা এখন ধর্মব্যবসায়ী দল হেফাজত ও জামায়াতের ওপর ভর করেছে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. আল আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মাহবুব-উল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নিয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় হেফাজতকর্মীদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। তিনি বলেন, যারা এ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
