ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেছেন, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দ্রুত সংক্রমণ বেড়ে করোনার মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জনমনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেছে- প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ধাক্কার অভিঘাত কি বেশি? প্রথম ধাক্কার পর সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোয় ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে কি? প্রথম ধাক্কায় সৃষ্ট নতুন দারিদ্র্য কমেছে কি? এখন কোন পথে অর্থনীতি? তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কা এখনো কাটেনি। প্রথম ধাক্কায় দিন আনে দিন খায় তথা এক দিন আয় না করলে সংসার চালানো দায় এমন মানুষ তাদের যৎকিঞ্চিত সঞ্চয় ভেঙে অথবা আত্মীয়স্বজনের সহায়তা নিয়ে অথবা জমি বিক্রি বা বন্ধক রেখে সংসার চালিয়েছিল। এখন তো সঞ্চয় নেই। এখন কোথায় ধার পাবে। আগের ঋণই কীভাবে শোধ হবে? এমন অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় অধিকাংশ মানুষ লকডাউনে জীবনযাপন করছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাক্কার বাস্তবতা ভিন্ন। এর পরিপ্রেক্ষিতের পার্থক্যে আগের কৌশল কাজ করবে না। দ্রুত কার্যকর জরুরি ব্যবস্থা ও চলমান উদ্যোগগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন মাত্রা যুক্ত করার পাশাপাশি কাঠামোগত সীমাবদ্ধাতা মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী সর্বজনীন নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা স্থাপন এবং নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, জরুরি ভিত্তিতে অভিঘাত মোকাবিলায় প্রত্যেক মানুষের কাছে নগদ পৌঁছে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে সর্বজনের কাছে অর্থ পৌঁছালেই অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। দ্রুত দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলাও সম্ভব হবে। পৃথিবীব্যাপী উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে নগদ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত অর্থনৈতিক ফলাফল নির্ধারণ করে। যেমন দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষাসংক্রান্ত সাতটি প্যাকেজের বরাদ্দের ১০ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। প্রায় ৫৬ শতাংশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবার ও কাজ হারানো শ্রমিকদের সহায়তা দিতে বরাদ্দ ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার মধ্যে বিতরণ হয়নি প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অথবা করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে, অধিদফতরের খাতায় নেই। অর্থাৎ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সদিচ্ছা এবং আমলাতান্ত্রিক কার্যকারিতার ওপর নির্ভর করবে জনমানুষের জীবনের দুশ্চিন্তা থেকে পুনরুদ্ধারের দিকের যাত্রাপথ।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে