রবিবার, ৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

মহামারী মোকাবিলায় নতুন উচ্চতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রফিকুল ইসলাম রনি

মহামারী মোকাবিলায় নতুন উচ্চতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনা মহামারীতে বিশ্বব্যাপী থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। চারদিকে অস্থিরতা। স্বাভাবিক কর্মজীবনে চরম স্থবিরতা। বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কও রীতিমতো ক্লান্ত। তারা যখন প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করছেন তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অসীম সাহসিকতা আর মানবিকতা দিয়েই জয় করছেন সবকিছু। তিনি করোনাযুদ্ধে একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়কই নন, ইতিহাসে নাম লেখাচ্ছেন যুদ্ধজয়ের বীরত্বগাথা গৌরবে। গত বছর করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে প্রশংসনীয় সফল ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন সরকারপ্রধান। বড়, মাঝারি, ক্ষুদ্রশিল্প বাঁচাতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়াসহ সাহস ও উদ্দীপনা জুগিয়েছেন। বেকার ও কর্মহীন মানুষের জন্য বরাদ্দ করেছেন মানবিক সহায়তা।     

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা আনা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের অনেক ধনী দেশও যখন টিকা পায়নি, তখন দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অতি সম্প্রতি ভারত করোনা টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে সংকট তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘যত টাকা লাগুক, টিকা আনবই’। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার পাশাপাশি অর্থও বরাদ্দ দিয়েছেন। ফলে ভ্যাকসিন সংকট কেটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাস টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’ আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসেই রাশিয়া থেকে আসছে ৪০ লাখ ডোজ টিকা। এদিকে রাশিয়ার টিকা কেনার পাশাপাশি তাদের প্রযুক্তি এনে দেশে সে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান মাসে দেড় কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দেশের জনগণের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে চীন উপহার হিসেবে দেবে ৬ লাখ ডোজ টিকা। কোভ্যাক্স থেকে আসবে ফাইজারের ১ লাখ ডোজ টিকা। এ ছাড়া ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির বাকি টিকার চালান থেকে ২০ লাখ ডোজ আনার চেষ্টা চলছে। সংকট সমাধানে এক উৎসে নির্ভর না থেকে বিকল্প ব্যবস্থা করছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনা মহামারীর প্রথম ধাক্কার মতো দ্বিতীয় ধাক্কার এই দুঃসময়েও জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য আবারও মানবিক সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতি দরিদ্র, কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক এবং কৃষকসহ মহামারীর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্ট লাঘবে ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কঠিন এ সময়ে স্বল্প আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৩৬ লাখ ৫০ হাজার অসহায় মানুষকে জীবন-জীবিকার জন্য আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেবে। আরও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ সহায়তা দিতে ৯১২ কোটি ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

গত বছর ১৭ মার্চ থেকে এ বছর ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিব শতবর্ষ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে তা বাড়িয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। মুজিববষের্র শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়ন হচ্ছে। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে জায়গাসহ ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসেও প্রায় ৫৫ হাজার ভূমিহীন মানুষকে পুনরায় ঘর দেওয়া হবে, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৯ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে।

অন্যদিকে তিন দশক আগে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর লাগোয়া সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় উদ্বাস্তু জীবন কাটানো ৬০০ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে নতুন ঠিকানা। গত বছর জুলাই মাসে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের নতুন ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে খুরুশকুলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫৩ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই ‘বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের পুরো এলাকাকে চারটি জোনে ভাগ করে ১৩৯টি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ১৩৯টি পাঁচতলা ভবনে ঠিকানা পাবে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫৯০ কোটি টাকা মাঠ প্রশাসনকে দেওয়া হয়। এই অর্থ বিতরণ চলছে। পাশাপাশি দরিদ্র ও ভাসমান মানুষকে জরুরি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য নিজ উদ্যোগে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যবিত্তদের গোপনে সহায়তা দিতে সরকারের ‘৩৩৩’ কল সেন্টার চালু করা হয়েছে। যারা দ্বিধান্বিত ও বিব্রত, যারা সহায়তা চাইতে পারে না, এটি মূলত তাদের জন্য। কেউ যদি ৩৩৩ নম্বরে কল করে সাহায্য চান, জেলা প্রশাসন তাঁদের পরিচয় গোপন করে সহায়তা দেবে। এখানেই শেষ নয়, হাওরাঞ্চলে মানুষ যেন সঠিক সময়ে ও যথাযথভাবে ঘরে ধান তুলতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নজরদারির কারণে হাওরাঞ্চলে ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। 

গেল বছর বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রথম ধাক্কা শুরুর পর মানুষের জীবন-জীবিকার পাশাপাশি অর্থনীতিকে বাঁচাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অনেকগুলো পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে করোনা মহামারী শুরুর পর অর্থনীতি, মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে ২১টি প্যাকেজে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। কভিড-১৯ এর প্রথম আঘাতের সময়ও দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, হকার, রিকশাচালক, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ধর্মীয় সংস্থার লোক, সাংবাদিক এবং জনগণসহ মোট প্রায় আড়াই কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা উদ্যোগের আওতায় আসেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভিন্নতর। অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল মানুষের কাছে একদিকে যেমন ত্রাণ পৌঁছে দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ শৃঙ্খল রাখতে হচ্ছে স্বাভাবিক। আবার শিল্পোদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গার্মেন্টকর্মী, পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, রিকশাচালকসহ সবাই যেন তাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে জন্য সরকারকে খাতভিত্তিক প্রণোদনা প্যাকেজ এবং আর্থিক সহায়তা দিতে হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, পেশাজীবীদেরও দেওয়া হয় আর্থিক প্রণোদনা। যার ফলে জীবন ও জীবিকা সচল থাকায় করোনার নানা সংকটেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এ জন্য দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়কের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা দৃঢ় মনোবল নিয়ে প্রতিনিয়ত সার্বিক কার্যক্রমও সমন্বয় করে চলেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই করোনাকালেই বঙ্গবন্ধুকন্যার সাহসী নেতৃত্ব স্মরণ করিয়ে দেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ এটাই আবার প্রমাণ করলেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। করোনা, আম্ফান ও বন্যার ধকল সামলে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয়। প্রমত্ত পদ্মায় এখন পূর্ণাঙ্গ সেতু দৃশ্যমান। বাংলাদেশের স্বপ্নই যেন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে গেছে পদ্মার বুকে। মেট্রোরেলের বগি চলে এসেছে। উড়াল সড়কসহ ফোর লেন সড়ক, কর্ণফুলী টানেল, বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প ছাড়াও সরকারের অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি চলমান রয়েছে। অন্যদিকে মানবিক সহায়তা, মানবিক দৃষ্টান্তের আরেকটি সাহসী ও সফল নেতৃত্বের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী হয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার একটি অংশকে নোয়াখালী ভাসানচরে স্থানান্তরের সফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে। 

গত বছর সারা দেশে ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তার নতুন রেকর্ড তৈরি করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল। একসঙ্গে এত মানুষের মানবিক সহায়তা পাওয়া বিরল ঘটনা। এই ৫০ লাখ পরিবারের বাইরেও আরও ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় ২ কোটি সদস্য আগে থেকেই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আছে। তারাও ভিজিএফ কার্ড, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা হিসেবে করোনাকালে তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকে।

গত বছর করোনার ধাক্কা আসার শুরুতেই গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের সভা করে দলীয় নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। গণভবন বসেই সরকারি দাফতরিক সব কাজের পাশাপাশি নিয়মিত কেন্দ্র থেকে একেবারের তৃণমূল প্রশাসনের খোঁজ রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সভায় ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এ ধারাবাহিকতায় চীনের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় দেশসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্‌বানে সাড়া দেন ও কথা বলেন।

এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কেউ যদি দায়িত্ব পালনের সময় আক্রান্ত হন, তাহলে পদমর্যাদা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা ঘোষণা করা হয়। এ জন্য ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আরও ৫ হাজার স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। এরকম নানামুখী পদক্ষেপে করোনা মহামারীতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও সুরক্ষা দিতে সরকারপ্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা।

করোনা, আম্ফান ও বন্যায় দলীয় সভানেত্রীর আহ্‌বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়। ত্রাণ সহায়তা, কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় মৃতদের লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের মানবিক এমন কর্মকান্ডে করোনাকালে ভূয়সী প্রশংসাও করেন শেখ হাসিনা। নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ইফতার, সাহরি ও বিনামূল্যে সবজি বিতরণ এবং টেলিমেডিসিন, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও লাশ দাফনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম চলমান ছিল।

গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করেন এবং সে অনুযায়ী দিকনির্দেশনা দিতে থাকেন। তিনি কারও জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই সবকিছুর নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। যখন যেখানে যে প্রয়োজন দেখা দেয় তা মেটাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর