পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যে কোনো দেশ নিজেদের অবস্থান জানাতে পারে; তবে বাংলাদেশ ‘নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ’ পররাষ্ট্রনীতির আলোকেই সিদ্ধান্ত নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন চার জাতির জোট কোয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে আগ বাড়িয়ে কথা বলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কোয়াড্রিলেটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ-কোয়াড নামে পরিচিত জোটে যোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘চীনবিরোধী’ ওই জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘ক্ষতি’ করবে। কারণ আমরা জানি, কোয়াড বানানো হয়েছে চীনের কথা মাথায় রেখে। গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেপালের কাছে ওষুধ ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, আমরা একটা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। তবে হ্যাঁ, যে কোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা সেগুলো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তো, আমরা কী করব না করব, আমাদের দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্য, আমাদের যে পজিশন আছে, তার ভিত্তিতে উই উইল ডিসাইড ইট। আমরা নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলি এবং সেটাই বজায় রাখব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনারা বলতে পারেন। উনি একটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা হয়তো এটা চায় না, তাই তারা বক্তব্য দেবেন। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদেরকে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এটা আগ বেড়ে বলা হয়েছে। আমরা এটাকে খুব একটা উনি বলেছেন, দ্যাটস ফাইন, এটা নিয়ে আমাদের বিশেষ কিছু বক্তব্য নেই।