রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠানোর আহ্‌বান জাফরুল্লাহর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠানোর আহ্‌বান জাফরুল্লাহর

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা পরিচালনাসহ আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্‌বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ান। কারণ বঙ্গবন্ধুর প্রণীত সংবিধানে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, যে কোনো জায়গায় অধিকারের জন্য সংগ্রাম চলবে, তাদের সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পাশাপাশি সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্‌বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে ও হয়রাণিমূলক মামলায় যত মানুষকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দিন।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংগ্রামী ফিলিস্তিনিদের প্রতি জাতীয় সংহতি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্‌বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক।  সাবেক ছাত্রনেতা মজিবুর রহমান মঞ্জুর পরিচালনায় সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল (অব.) নুরুদ্দিন খান, কমরেড খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের আহ্‌বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে অনেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেকে একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই গাজায় এ নির্লজ্জ হত্যাকা  চালাচ্ছে। ইসরায়েল কোনো রাষ্ট্র নয়। এটা একটা যুদ্ধ মেশিন। একে যুদ্ধের মাধ্যমেই শেষ করতে হবে।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) নুরুদ্দিন খান বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আধুনিক বিশ্বে এ জঘন্য অপরাধ চলতে পারে না।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যেভাবে ফিলিস্তিনিদের অধিকার হরণ করা হয়েছে তার প্রতিবাদে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্‌বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদেরও লড়াইয়ের বাতি জ্বালাতে হবে। অনেকেই সাহস করে কথা বলেন না, বা বলতে চান না। আমাদের আরও সাহসী হতে হবে। সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, অনেক বছর ধরে এ অন্যায় চলছে। সমস্যা সমাধানের  কোনো উদ্যোগ নেই। কিন্তু এবার কিছুটা আশার আলো দেখছি। কারণ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এমনকি কিছু ডেমোক্রেট কংগ্রেস ম্যানও ইসরায়েলের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আছি।

সর্বশেষ খবর