সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

আসিফ ইকবাল

সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

উইকেট শিকারের পর মিরাজের উল্লাস -রোহেত রাজীব

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অফ স্পিনার দীপক প্যাটেলকে দিয়ে বোলিং করিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক জন রাইট। কেনিয়ান বংশো™ভূত স্পিনার নতুন বলে শুধু রান আটকেই রাখেননি, ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাসও তুলেছিলেন। এরপর গত তিন দশকে দলগুলো প্রয়োজনে স্পিনার দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে। সাফল্যও পেয়েছে। গতকাল মিরপুরে ওয়ার্ল্ড সিরিজ কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল বল তুলে দেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে বাজিমাত করেন মিরাজ। ধীরগতির উইকেটে মিরাজের ঘূর্ণির মায়াজাল এবং শেষ দিকে ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজের ধারালো বোলিংয়ে ৩৩ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয় পেল তামিম বাহিনী। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামীকাল একই ভেন্যুতে। ওয়ার্ল্ড কাপ সিরিজে বাংলাদেশের এটা সপ্তম ম্যাচে চতুর্থ জয়। ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। টাইগাররা ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল বল ও ব্যাটের দাপুটে ক্রিকেট খেলে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ড উড়ে গিয়েছিলেন তামিমরা। কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে লড়াই করতে পারেননি। হোয়াইটওয়াশের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফেরেন। এখন খেলছেন দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গতকাল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করে। যা মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ স্কোর ৭ উইকেটে ৩২০ রান, ২০১৮ সালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০১০ সালে ৭ উইকেটে ২৬০। গতকাল তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হাফসেঞ্চুরি করেন। অধিনায়ক তামিম ৫২, সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ৮৪ ও টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৪। ক্যারিয়ারের ৫১ নম্বর হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলে তামিম সব মিলিয়ে ৩৫৬ ম্যাচে ১৪,০৫০ রান করেন। মুশফিকের ইনিংস ৪০ এবং মাহমুদুল্লাহর হাফসেঞ্চুরি ২৪ নম্বর।

টার্গেট ২৫৮। মিরাজ দিয়ে বোলিং করিয়ে তামিম প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। মিরাজের সঙ্গী হয়ে সাকিব, মুস্তাফিজ, সাইফুদ্দিনদের জোরালো আঘাতে ১৪৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে অষ্টম উইকেট জুটিতে হাসারাঙ্গা ও উদানা ৫৯ বলে ৬২ রান যোগ করে ম্যাচে সাময়িক উত্তেজনার  সৃষ্টি করেন। কিন্তু সাইফুদ্দিন আঘাত হানার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। থেমে যায় ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানে। হাসারাঙ্গা ৬০ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। মিরাজ টানা ১০ ওভার বল করে ৩০ রানের খরচে সফরকারীদের ৪ উইকেট তুলে জয় সহজ করেন। এর আগে দুবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪টি করে উইকেট নিয়েছিলেন অফ স্পিনার। সাকিব ১০ ওভারের স্পেলে ৪৪ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। ছন্দে থাকা মুস্তাফিজ ৩ উইকেট নেন ৩৪ রানের খরচে। সাইফুদ্দিন ৪৯ রানের খরচে নেন ২ উইকেট।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর