রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

কিশোর আরাফাত খুনে পাঁচজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কদমতলীতে কিশোর আরাফাত খুনের মামলায় গ্রেফতার আটজনের মধ্যে পাঁচজনের রিমান্ড শুনানির ৩১ মে দিন ধার্য করেছে আদালত। এ ছাড়া অন্য তিনজনকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেয়। এর আগে কদমতলীতে আধিপত্য বিস্তার ও এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ইয়াসিন আরাফাত (১৮) নামে এক তরুণ খুন হয়েছেন।

কদমতলীর ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সাইদ হোসেন সামির বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কদমতলীর শনিরআখড়ায় আরএস টাওয়ারের সামনে কয়েক কিশোর ইয়াসিন আরাফাতকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাকে ঢাকা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত আরাফাত  নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার কুতুবপুর গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে আরাফাত ছোট। তিনি পরিবারের সঙ্গে পাটেরবাগ শিয়ামসজিদ ব্যাংক কলোনিতে থাকতেন এবং শনিরআখড়ায় আয়েশা মোশারফ মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতেন।

 

আরএস টাওয়ারের দোকান কর্মচারী সামির আরও বলেন, শনিরআখড়ায় আয়েশা মোশারফ মার্কেট ও আরএস টাওয়ারে পাশাপাশি কাজ করতেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে আরাফাত, সামির ও জীবন নামে তিনজন একসঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। আরএস টাওয়ারের সামনে গেলে পূর্বপরিচিত প্রিন্স, শুভ ও টুটুলসহ ২০-২৫ জন তাদের গতিরোধ করে। তারা জানতে চায় কেন প্রিন্সের ছোট ভাইকে মারধর করা হয়েছে। এ কথা বলতে বলতে তাদের মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে তারা দৌড়ে আরএস টাওয়ারের ভিতরে চলে যান। আরাফাতের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে  দেখে জামা খুলে বুকে, পিঠে ও পায়ে ছুরিকাঘাতের দাগ দেখা যায়। সেখান থেকে তাকে স্থানীয়  দেশবাংলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, আরাফাতকে হত্যার ঘটনায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রিন্স ও শুভসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটজনের মধ্যে পাঁচজনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এদের রিমান্ড শুনানি ৩১ মে দিন ধার্য করেছে আদালত। অন্য তিন আসামিকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর