শিরোনাম
সোমবার, ৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
বা জে ট প্র তি ক্রি য়া

উৎসে আয়কর কমানোর দাবি করেছে বিটিএমএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত বাজেটে উৎসে আয়কর ও টেক্সটাইল শিল্পের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি করেছে বস্ত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ। সংগঠনটি বলেছে- ফেব্রিকের ট্যারিফ ভ্যালু পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। আর এখনই এটা সম্ভব না হলে, এই লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ধার্য করা হোক। এ ছাড়াও রপ্তানি-বাণিজ্যে খরচ কমানোর লক্ষ্যে উৎসে আয়কর কর্তনের হার আগের মতো দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হোক। পাশাপাশি টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশকে শুধু ১ শতাংশ শুল্ক প্রদানের মাধ্যমে আমদানি সুবিধা প্রদানের দাবি করেছে বিটিএমএ।

গতকাল কারওয়ান বাজারে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেন- স্থানীয়ভাবে দেশীয় শিল্পের জন্য কাঁচামাল তৈরি উৎসাহিত করার জন্য মূসক অব্যাহতির মেয়াদ আরও বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাজেটে কতিপয় ক্ষেত্রে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা দূরদর্শিতাসম্পন্ন। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে টেক্সটাইল খাতও সহায়ক হতে পারে।

তিনি বলেন- সব ধরনের সুতার ওপর মূল্য সংযোজন কর ৩ টাকা ধার্য, কৃত্রিম আঁশের সুতায় তৈরি ফেব্রিকের মূসক প্রত্যাহারসহ সব ধরনের ফাইবারকে শুল্ক ও করমুক্তভাবে আমদানির বিষয়টিকে বিবেচনায় না নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী গৃহীত উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কেননা এখন পর্যন্ত আমাদের রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থানে টেক্সটাইল ও ক্লথিংয়ের গুরুত্বই সর্বাধিক। এ ছাড়াও বহির্বিশ্বে আমাদের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক ইতিমধ্যে ব্র্যান্ডিংয়ের পথে রয়েছে।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন- সরকার তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি একই সঙ্গে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রির রপ্তানিতে যথাযথ ভূমিকা নিশ্চিতের বিষয়টি প্রাধান্য দিলেও, সামগ্রিক বাজেটটি বিশ্লেষণে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাত সম্পর্কে বাজেটে যে সব প্রস্তাব রয়েছে, তা কার্যত অপ্রতুল এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সর্বশেষ খবর