কুষ্টিয়ায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার একমাত্র আসামি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়। গতকাল তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বেলা সোয়া ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের খাসকামরায় তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। পরে আদালতের পেশকার এম এ আলীম জানান, জবানবন্দির পর সৌমেন রায়কে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১টার দিকে পুলিশের কড়া পাহারায় সৌমেন রায়কে আদালত চত্বরে নেওয়া হয়। এ সময় সৌমেনের মাথায় হেলমেট, শরীরে বুলেটপ্রæফ জ্যাকেট ও দুই হাত পিঠমোড়া করে হাতকড়া পরানো ছিল। তাকে দ্রুত বিচারকের খাসকামরায় নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করা হয়। তারা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া গ্রামের আমির আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (৩৪), আসমার ছেলে রবিন (৬) ও একই উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা গ্রামের শাকিল খান (২৩)। রবিন আসমার সাবেক স্বামীর সন্তান। তিনজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আসমার তৃতীয় স্বামী এএসআই সৌমেন রায়কে পুলিশ আটক করে। পুলিশ বলছে, সৌমেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আসমার সঙ্গে শাকিলের সম্পর্ক ছিল। এর জেরেই এ হত্যা।
তিনজনের দাফন সম্পন্ন : সৌমেনের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা খাতুন, আসমার ছেলে রবিন ও যুবক শাকিল খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সকাল ৮টায় পরিবারে লাশগুলো হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ জোহর জানাজা শেষে আসমা ও রবিনকে কুমারখালীর নাতুড়িয়া গ্রামে আর শাকিলকে চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা গ্রামে দাফন করা হয়।