আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়। তবু জীবনের সুরক্ষার প্রয়োজনে জনস্বার্থে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের উদাসীনতায় লাগামহীনভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভয়ানক অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ গতকাল তিনি তার সরকারি বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ৫ আগস্ট থেকে শোকাবহ ‘আগস্ট মাসের’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে শোকাবহ, মর্মান্তিক হত্যার স্মৃতিবিজড়িত আগস্ট মাস আমাদের দুয়ারে সমাগত। প্রতি বছর আগস্টকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু এবার করোনার ভয়াবহতায় লকডাউনের কারণে দলীয় সভানেত্রী  শেখ হাসিনার নির্দেশে আগস্টের কর্মসূচি সীমিত পরিসরে এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

১৬ আগস্ট বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা। ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে ঘরোয়াভাবে আলোচনা সভা। ২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধান করে সীমিত পরিসরে এসব কর্মসূচি পালনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংগঠনিক ইউনিটগুলোকে দলের সভাপতির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান। সংক্রমণের উচ্চমাত্রার বিষয়টি মাথায় রেখে এবং কর্মসূচির ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি সব সহযোগী সংগঠনকে কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে নিজস্ব কর্মসূচি পালনের তাগিদ দেন।