রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

জাপান থেকে এলো আরও ৮ লাখ টিকা

অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দু-এক দিনের মধ্যে শুরু

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় চালানে জাপান থেকে আরও ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে দেশে। গতকাল ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই টিকার চালান হস্তান্তর করেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। এর আগে গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টিকার প্রথম চালান ঢাকায় আসে। এ ছাড়া আগামী ৪ আগস্ট জাপান থেকে আরও প্রায় ৬ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় পাশে থাকতে জাপান বাংলাদেশকে ৩০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

টিকা গ্রহণ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, জাপান আমাদের পুরনো  বন্ধু। জাপান প্রমাণ করেছে তারা আমাদের সত্যিকারের বন্ধু। তারা আমাদের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। জাপান সরকার আমাদের ৩০ লাখ টিকা দিচ্ছে। টিকার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ। আমরা জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা বিনা পয়সায় আমাদের টিকা দিচ্ছে। করোনাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, করোনা খুব বড় সমস্যা। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। এটা একটি দেশের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। বিশ্বের সব দেশে টিকা নিশ্চিত না করতে পারলে কেউই নিরাপদ নয়। করোনা মোকাবিলায় সরকার সফল জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমরা করোনা ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। সাফল্যজনকভাবে মোকাবিলা করেছি। সপ্তাহে ১ কোটির বেশি লোককে টিকা দিচ্ছি আমরা। এটা দুনিয়ার কোনো দেশে দেখেছেন? আমরা প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি করে টিকা দেব। এতে দেখা যাবে, দুই মাসে অর্ধেক লোকের টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। অনেক পন্ডিত বলেন, পাঁচ বছর লাগবে। অনেকে নেতিবাচক কথা বলেন। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে টিকা নিয়ে কাজ করছে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। করোনাযুদ্ধে দেশের সবাইকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোমেন বলেন, এখন করোনাযুদ্ধ চলছে, এতে সবার দায়দায়িত্ব আছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। আমি আগে মাস্ক পরতাম না, এখন বাধ্য হয়ে মাস্ক পরি। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে কিন্তু হাসপাতালে ভিড় হবে না। আর আমরা সারা দেশকে হাসপাতাল বানাতে পারব না।

টিকা গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে ১৫-১৬ লাখ লোক অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। তাই এই টিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি, সেই অপেক্ষা দূর হলো। আমরা কাল-পরশু থেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পায়নি তাদের দেওয়া শুরু করব। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও গাইডলাইনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি টিকার বিষয়ে। এ পর্যন্ত টিকার মজুদ আছে ২ কোটি ৪০ লাখ ডোজ। টিকাদান করা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে ১ কোটি ২১ লাখ টিকা। চীন থেকে আরও ৩৪ লাখ টিকা আগামী সপ্তাহে দেশে আসবে। এ মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে। আগামী মাসে ফাইজার থেকে ৬০ লাখ টিকা আসবে।’ বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে টিকাগুলো কেন্দ্রীয় ইপিআইয়ের স্টোরের কুলার রুমে সংরক্ষণ করার জন্য পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর