শিরোনাম
রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

পাকিস্তান আরও বেশি তালেবানি আদর্শগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে

------- এম জে আকবর

প্রতিদিন ডেস্ক

পাকিস্তান আরও বেশি তালেবানি আদর্শগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে

প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক, লেখক ও সংসদ সদস্য এম জে আকবর বলেছেন, আফগানিস্তানের ক্ষমতা-কেন্দ্রে তালেবানের ফিরে আসার ফলে পাকিস্তান আরও বেশি করে তালেবানি আদর্শগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।

‘ইন্ডিয়া নিউজ স্ট্রিম’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে  তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেন, পাকিস্তান মনে করে সে তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানের নীতিকে প্রভাবিত করবে। কিন্তু উল্টোটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি।

তিনি বলেন, ‘তালেবান ভূগোলবাহক নয়, তারা হচ্ছে আদর্শবাহক। কাজেই এখন পাকিস্তানের ওপর তাদের প্রভাব বাড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি।’

কিছুদিন আগে বেরিয়েছে আকবর রচিত বই ‘গান্ধীজ হিন্দুইজম : দ্য স্ট্রাগল অ্যাগেইনস্ট জিন্নাহজ ইসলাম’। বইটিতে উপমহাদেশের ইতিহাসে এ দুই নেতার বিপরীতমুখী ভূমিকার বিশদ বর্ণিত হয়েছে। প্রশ্নের উত্তরে এম জে আকবর বলেন, তালেবানের স্রষ্টা পাকিস্তান। সৃজনের খেলাটা যারা খেললেন তারা ভেবেছেন কাবুল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু উল্টোদশা ঘটতেই পারে। তিনি বলেন, মুজাহিদিন গড়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, তালেবান বানিয়েছে পাকিস্তান। এরা রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। আল-কায়েদাও রুশদের বিরুদ্ধে লড়েছে। রুশ সেনারা চলে গেলে আল-কায়েদায় বিভক্তি দেখা দেয়। একটা অংশ আফগান জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে। অন্য অংশটি উগ্রপন্থার ইসলামী চেতনায় নানা নামে সক্রিয় হয় যেমন আল-কায়েদা, তালেবান, তাহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান, জঈশ, লশকর। এসবই পাকিস্তান এস্টাবলিশমেন্টের আশ্রয় আর অকুণ্ঠ সহযোগিতায় পুষ্ট। কিন্তু যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন পাকিস্তান পয়দা করল সেটা এখন তারই মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এম জে আকবরের মতে, কাবুলে তালেবানের প্রত্যাবর্তন শুধু পাকিস্তানই নয়, মধ্য এশিয়ার সব দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়। নিজের অবস্থানটা মজবুত করতে পারলেই মধ্য এশিয়ায় একটু একটু করে ঢুকতে সচেষ্ট হবে তালেবান। বিনাশ করবে সুস্থিতি। এ প্রসঙ্গে ইরানের ভূমিকাবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে এম জে আকবর বলেন, ইরানের ভূমিকা নিয়ে কিছুদিন দুশ্চিন্তায় ভোগে ঠিকই, কিন্তু ইরানীয় ইসলাম তো আল-কায়েদা ও তালেবানের আন্তর্জাতিক আদর্শের অনুসারী নয়। তিনি বলেন, তালেবান এখন আপসকামী বুলি আওড়ায়। এতে মোহগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। কারণ তালেবানরা দীর্ঘমেয়াদের খেলোয়াড়।

আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী কোনো জোট গড়ে উঠলে রাশিয়া কী করবে? জবাবে এম জে আকবর বলেন, কোন পক্ষ কী করছে, বাস্তবতা মেনে করছে নাকি করছে না- বিভিন্ন দেশ তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। সম্ভবত সামনের তিন মাস তারা ‘দেখি না কী হয়’ পন্থা মেনে চলবে। এম জে আকবরের মতে, তালেবান আগের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়ার কারণে কাবুলের দ্রুত পতন ঘটেনি। আফগান সেনাবাহিনী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল বলেই ওটা ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর