শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণআন্দোলন চাই : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ‘গণঅভ্যুত্থান’ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে বিএনপি। গতকাল দুপুরে দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ডাক দেন। একই সঙ্গে তিনি নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় মিলনায়তনের বাইরেও হাজার নেতা-কর্মীর সরব উপস্থিতি দেখা যায়। মিলনায়তনের আশপাশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্র্চুয়ালে লন্ডন থেকে বক্তব্য দেন, যা বড় ডিজিটাল পর্দায় দেখানো হয়। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মির্জা আলমগীর বলেন, আজকে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে জয়লাভ করতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রকে ফেরাতে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।  আলোচনা সভায় ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ভবিষ্যতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে রাজনীতি করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার নিজেদের সব ব্যর্থতাকে চাপা দেওয়ার জন্য অত্যন্ত হৃদয় স্পর্শ করা একটা ইস্যুকে তারা সামনে এনে আমাদের ব্যস্ত রাখতে চায়। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, লে. কর্নেল জয়নুল ‘আবেদীনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে (চন্দ্রিমা উদ্যান) নামানো হয়েছে। জয়নুল নিজেও কবরে নেমেছিলেন। অথচ তারা বলে যে, কবরে লাশ নেই। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, সাইফুল আলম নিরব, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আফরোজা আব্বাস, সাদেক আহমেদ খান, ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শওকত মাহমুদ, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আকরামুল হাসান, নিপুণ রায় চৌধুরী, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর