লন্ডনে সন্ত্রাসবিরোধী এক তদন্তের অংশ হিসেবে আরও এক ইরানি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গতকাল শুক্রবার সকালে উত্তর-পশ্চিম লন্ডন থেকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, ৩ মে লন্ডনে আরও তিনজন ইরানি—যাদের বয়স যথাক্রমে ৩৯, ৪৪ এবং ৫৫ বছর—গ্রেপ্তার হন। এই তিনজনকে ১৭ মে পর্যন্ত হেফাজতে রাখার জন্য আদালতের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
এই তদন্তটি একটি ভিন্ন ঘটনায় আলাদাভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আরও চারজন ইরানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং একজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের দুটি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সব ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর ধারা ২৭ অনুযায়ী আটক করা হয়েছে, যা কোনো বিদেশি শক্তির নির্দেশে যুক্তরাজ্যে হুমকিস্বরূপ কর্মকাণ্ড পরিচালনার সন্দেহে কাউকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেয়।
হোম অফিসের মন্ত্রী ড্যান জারভিস মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই দুটি তদন্তই সাম্প্রতিক সময়ের “সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রবিরোধী হুমকি ও সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপগুলোর” মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও জানান, এই পাঁচজনই জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম ইরানি নাগরিক।
উল্লেখ্য, ইরানই প্রথম দেশ হিসেবে বিদেশি প্রভাব নিবন্ধন প্রকল্প (এফআইআরএস)-এর শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়, যদি কেউ ইরানি সরকারের নির্দেশে যুক্তরাজ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে তাকে তা ঘোষণা করতে হবে। এটি অমান্য করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। নতুন এই নিয়ম জুলাই থেকে কার্যকর হবে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম