রাজধানীর সবুজবাগে নয় তলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শওকত হোসেন ফকির (৩০)। গতকাল সকাল ১০টায় সবুজবাগের মধ্য বাসাবোর নাভানা টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তৎক্ষণাৎ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে তৌফিক হোসেন নামে এক পথচারী জানান, নাভানা টাওয়ারের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় শওকতকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি টাওয়ারের পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকতেন। শওকতের বড় বোন সুলতানা জানান, শওকত সবার ছোট। অফিসে যাওয়ার জন্য সকালে বাসা থেকে বের হন শওকত। পরে খবর পান ভবন থেকে নিচে পড়ে গেছেন। শওকত বেসিক ব্যাংকের মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা। কিন্তু কেন তিনি অফিসে না গিয়ে ছাদে গেলেন আর কীভাবে নিচে পড়লেন তা রহসজনক। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীতে যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ : রাজধানীর ডেমরা-রামপুরা সড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার অনুমানিক বয়স ৩০ বছর। গতকাল দুপুরে আমুলিয়া মডেল টাউন সংলগ্ন স্নিগ্ধা নামে একটি নার্সারির পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, লাশের হাত-পা সাদা রশি দিয়ে বাঁধা ও গলায় সাদা রশি পেঁচানো ছিল।গায়ে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের ফুলহাতা জার্সি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলাবার বেলা ১১ টার দিকে নার্সারিতে গাছ কিনতে আসেন এক ব্যক্তি। তিনি গাছ দেখতে দেখতে নার্সারির পেছন দিকে গিয়ে দেখেন একটি মানুষ শুয়ে আছে। পরে নার্সারির মালিক আজাদকে ডেকে নিয়ে কাছ থেকে দেখেন হাত-পা বাঁধা ও গলায় সাদা রশি পেঁচানো এক যুবক পড়ে আছে। এ ঘটনায় তারা পুলিশে খবর দেন। এ বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ের পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। যেহেতু অজ্ঞাত লাশ, সেহেতু লাশ শনাক্তের জন্য ডিএনএ ও আঙ্গুলের ছাপসহ প্রয়েজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।