ডারবানের কিংসমিডে ধৈর্য ও আস্থার ‘প্রতীক’ হয়ে ব্যাটিং করেছেন মাহামুদুল হাসান জয়। যুব বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার ২১ বছর বয়স্ক মাহামুদুল হাসান জয় গতকাল অপরিচিত পরিবেশ জয় করেন। খেলেন তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস। তার হাত ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার এই প্রথম সেঞ্চুরি করেন। আগের সর্বোচ্চ টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রোমে মুমিনুল খেলেছিলেন ৭৭ রানের ইনিংস। জয়ের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০ উইকেটে ২৯৮ রান। যুব বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার জয় ব্যাট করছিলেন ১৩৭ রানে। ডান হাতি ফাস্ট বোলার খালেদ আহমেদের দুরন্ত বোলিংয়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ৩৬৭ রানে। প্রথম দিন আলোর স্বল্পতায় পুরো খেলা হয়নি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিন সমানে সমান ছিল দুই দল। তবে শেষ বিকালে সাইমন হার্মারের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৯৮ রান তুলতে হারিয়ে বসে উপরের সারির ৪ ব্যাটার। তারপরও তরুণ ওপেনার জয় একাই খেলেছেন। অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। এরমধ্যে একটি ছক্কাও ছিল। নাইটওয়াচনম্যান তাসকিনকে নিয়ে দিন পার করেন দ্বিতীয় দিন। গতকাল তাসকিনকে নিয়ে শুরু করলেও ৩ রানের মধ্যে ফিরে যান তাসকিন। এরপর লিটনকে নিয়ে ৮২ রান যোগ করেন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। লিটন দলীয় ১৭৯ রানে উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হন লিটন। খেলেন ৯২ বলে ৬ চারে ৪১ রানের ইনিংস। লিটনের বিয়ের পর জয় জুটি বাঁধেন ইয়াসির আলির সঙ্গে। দুজনে ৩৩ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হয় ইয়াসিরের রান আউটে। দারুণ খেলছেন ইয়াসির। অষ্টম জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫২ রান যোগ করেন জয়। মিরাজ আউট হন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। ওপেন খেলতে নেমে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে তৃতীয় টেস্ট ক্যারিয়ারে তুলে নেন প্রথম সেঞ্চুরি। চলতি জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৮ উইকেটের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের ম্যাচে ৭৮ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস খেলেছিলেন মাহাদমুদুল হাসান জয়। গতকাল উইকেটের একপ্রান্ত আগলে হাফসেঞ্চুরি করেন ১৭০ বলে। সেঞ্চুরি করেন ২৬৯ বলে।