বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউক্রেনের ক্রিমান্না শহর রুশ বাহিনীর দখলে

প্রতিদিন ডেস্ক

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার নতুন অভিযান শুরু হওয়ার পর সেখানকার ক্রিমান্না শহরটি রুশ বাহিনীর দখলে চলে গেছে। লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি গাইদাই এ যুদ্ধে অন্তত ২০০ ইউক্রেনীয় মেরিন সেনা নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়ে বলেছেন, রুশ বাহিনীর চতুর্মুখী হামলার মুখে মেরিন সেনারা কৌশলগত কারণে পিছু হটেছে। তবে তারা আবার ফিরে আসবে। সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, দুই দিন আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তাদের চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের সেনারা চলে গেলে রুশ সৈন্যরা গত মঙ্গলবার ক্রিমান্না শহর দখল করে। লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি গাইদাই গতকাল বলেন, ‘দানবেরা (রুশ বাহিনী) ক্রিমান্নার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা শহরের ভিতরে ঢুকে গেছে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করতে হয়েছে। তারা নতুন করে বিভিন্ন সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান নিয়েছে এবং রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।’ তিনি আরও জানান, ১৮ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহর ক্রিমান্নায় রুশ সেনারা চতুর্মুখী হামলা চালালে শহরটির পতন হয়েছে। রাজধানী কিয়েভ থেকে ৫৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ক্রিমান্না এখন রুশ সেনাদের সম্পূূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের সেনারা কৌশলগত কারণেই পিছু হটেছে, তবে তারা নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে পাল্টা হামলা চালাবে। সেরহি গাইদাই আরও বলেন, ‘কতজন নিহত হয়েছে, তার সংখ্যা হিসাব করা অসম্ভব। আমাদের কাছে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুর নিশ্চিত তথ্য আছে। তবে বেসামরিক মিলিয়ে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।’

গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ক্রিমান্না শহর দখলের মধ্য দিয়ে অপেক্ষাকৃত বড় শহর ক্রামাতোরস্ক দখলের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে রুশ বাহিনী। চলমান লড়াইয়ে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু নতুন অভিযানের কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেন ‘মুক্ত’ করতে চায় মস্কো। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার কারণে চলমান সামরিক অভিযান দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তিনি রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে ব্যাপক রক্তপাতের জন্য ওয়াশিংটন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের দায়ী করেন। এদিকে যুদ্ধ সম্পর্কে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেঙ্কভ বলেছেন, গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ১৩টি ইউক্রেনীয় সেনা অবস্থান ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে।  ক্ষেপণাস্ত্র ওয়ারহেড সংরক্ষণাগারসহ আরও ৬০টি ইউক্রেনীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে বিমান বাহিনী। এর আগে গত সোমবার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেন পর্যন্ত ৪৮০ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে হামলা শুরু হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহর এবং দনবাসের পশ্চিমাঞ্চলের জাপোরিঝিয়া ও দিনিপ্রোর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর