বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পেশিশক্তি দিয়ে জয়ী হওয়া যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

পেশিশক্তি দিয়ে জয়ী হওয়া যাবে না

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ যদি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রশাসনের কারও অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে।’ এ ছাড়া নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা দিলে নির্বাচন বাতিল করা হবে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার। গতকাল দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা ইসি ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্বামীর লোকদের অত্যাচারে প্রচার চালাতে পারছেন না প্রার্থীরা। প্রশাসনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণে কাফনের কাপড় পরে, হাতে বিষ নিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ দাবি করে ইসির সামনে অবস্থান নেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রার্থীদের ইসির সামনে থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা কর্মকর্তা পাঠিয়েছিলাম তারাও বললেন। আমরা তাদের বলেছি, উনাদের (অবস্থানকারীদের) যদি কেউ থাকেন তাহলে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।’

ভোটে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে ইসির ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, ‘বাধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। কোনো উৎস থেকে যদি তথ্য পাই যে প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে, ভোটারকে বাধা দেওয়া হয়েছে অথবা নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে দেওয়া হয়নি তাহলে প্রথমে আমরা যেটা করি শিডিউলটা আমরা স্থগিত করি। যাতে অন্য কোনো প্রার্থী যদি থাকেন তাহলে তিনি যেন পুনরায় নমিনেশন সাবমিট করতে পারেন। যদি এমন হয় ওইখানে প্রার্থী নিরাপদ নন তাহলে পাশের জেলা বা উপজেলায় তাদের নমিনেশন সাবমিট করার সুযোগ দিই।’

তিনি বলেন, ‘প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে কারও অবহেলা পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা মনে করি এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনের দিন যদি ভোটারকে আসতে বাধা দেওয়া হয় তাহলে সেই ভোটকেও আমরা বাতিল করে দেব।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘ভোটে কেউ বাধা দিলে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা হবে। আপনারা দেখবেন স্থানীয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে কি না। কেউ যদি পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাহলে ইসি তার ক্ষমতাবলে মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেবে। এ ছাড়া ভোট বাতিল করে দেওয়া বা প্রার্থীর (অভিযুক্ত) প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতাও রয়েছে ইসির।’

সর্বশেষ খবর