সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

থাকছে না বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরী আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল

এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় দুই স্থানে

হাসান ইমন

ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে হানিফ ফ্লাইওভার ছাড়া এখন আর বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুতে কোনো টোল দিতে হবে না। আগামী ১ জুলাই থেকে এই তিন সেতু টোলমুক্ত হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা স্থান থেকে টোল আদায় হবে। টোল আদায়ে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি)-কোম্পানি পাঁচ বছরের দায়িত্ব পেয়েছে। এই টোল কিলোমিটার প্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে              সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী সেতুর টোল থাকছে না। নতুন করে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য টোল আদায় হবে। ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা নামক স্থান ছাড়াও শ্রীনগর, আবদুল্লাহপুর, কোরিয়া বাজারসহ চারটি স্থানে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় হবে। কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ইতোমধ্যে কিলোমিটার প্রতি টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। মোটরসাইকেল ৫০ পয়সা, প্রাইভেট কার আড়াই টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ৪ টাকা, মিনিবাস ৫ টাকা, মিনিট্রাক সাড়ে ৭ টাকা, বড় বাস ৯ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক (ছয় চাকা) ১০ টাকা, ভারী ট্রাক (১০ চাকা) ২০ টাকা ও বড় ট্রেলর ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে বিদ্যমান তিনটি সেতু যথা বুড়িগঙ্গা সেতু, ধলেশ্বরী সেতু ও আড়িয়াল খাঁ সেতুতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে। একই করিডোরে অবস্থিত পদ্মা সেতু গতকাল সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে ‘ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম’ (আইটিএস) স্থাপনসহ অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এই ব্যবস্থাপনায় রিয়েল-টাইম, ট্রাফিক এবং ভ্রমণের তথ্য নিয়ন্ত্রিত থাকে। এটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বিধায় এতে যানজট কমে যাবে। পণ্য ও মালবাহী যানবাহনের দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই কোম্পানিটিকে পাঁচ বছর মেয়াদে ৭১৭ কোটি টাকায় এ কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অনেক আগেই ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হয়েছে। যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি একই করিডোরে অবস্থিত পদ্মা সেতু যান চলাচলে খুলে দেওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর