শিরোনাম
রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জ্বালানি সংকট নিরসনে ভারত থেকে এলো কাঁচামাল ন্যাফথা

নরসিংদী প্রতিনিধি

চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে বাংলাদেশে এই প্রথম অকটেন পেট্রোলসহ বিভিন্ন জ্বালানি পণ্যের কাঁচামাল ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ‘ন্যাফথা’ আমদানি করা হয়েছে। যা ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেলে রূপান্তর হবে। ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে ন্যাফথা নরসিংদীর ঘোড়াশাল শীতলক্ষ্যা নদীর একোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের জেটিতে পৌঁছেছে। গতকাল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাস কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত  ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম, একোয়া রিফাইনারির ডিরেক্টর অপারেশন এরশাদ হোসেন, সাংহাই শিপের মালিক মাসুদুর রহমান প্রমুখ। আমদানিকারক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এই প্রথম ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ন্যাফথা আমদানি করা হয়। প্রক্রিয়াজাত করে এ থেকে ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হবে। এ ন্যাপথা পরিশোধনের পর ৮০ শতাংশ অকটেন, ৫ শতাংশ পেট্রোল ও ৭ শতাংশ কেরোসিন উৎপাদিত হবে। যা দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে। একোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের ডিরেক্টর অপারেশন এরশাদ হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রতি মাসে আমরা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন ন্যাফথা নিয়ে আসব। এটি প্রক্রিয়াকরণ করতে পাঁচ দিন লাগে। ন্যাপথা পরিশোধনের পর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মাধ্যমে সারা দেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। আশা করি ভবিষ্যতে এ ন্যাফথা বাংলাদেশের ১০ ভাগ অকটেনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।’ দ্রুত সময়ে পৌঁছার কারণে ও দামে কম হওয়ায় এটি আমাদের জন্য সাশ্রয়ী হবে বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা। ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম বলেন, ‘ভারতের হলদিয়া থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় ন্যাফথা খুব দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে যাবে। এর প্রক্রিয়াকরণেও সময় কম লাগে। আগে এটা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে একোয়া রিফাইনারিতে আসত। এতে ভাড়া বেশি লাগত। এখন সময় কম লাগবে।’

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন মালামাল ভারত থেকে নিয়ে আসি। এই প্রথম ভারত থেকে ন্যাফথা আনা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের যে ঘাটতি তার প্রধান কারণ জ্বালানির অপ্রতুলতা। দেশে ন্যাফতার অয়েল আমদানির ফলে ফুয়েলের যে ঘাটতি তা কিছুটা পূরণ হবে। আর সরকার বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ন্যাফথা নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে। আগামীতে আরও ন্যাফথা দেশে আসবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর