শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র হয় না

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র হয় না

ড. সলিমুল্লাহ খান

বিশিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তক, বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা না থাকলে গণতন্ত্র হয় না। আমাদের এখানে যে ‘উন্নয়ন’ বলা হচ্ছে এর মূল ত্রুটিটা কী? এটা বণ্টন বাদ দিয়েই ‘উন্নয়নবাদ’। এখানে বণ্টনের এরপর পৃষ্ঠা ৪ কলাম ৬বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বিশিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তক, বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা না থাকলে গণতন্ত্র হয় না। আমাদের এখানে যে ‘উন্নয়ন’ বলা হচ্ছে এর মূল ত্রুটিটা কী? এটা বণ্টন বাদ দিয়েই ‘উন্নয়নবাদ’। এখানে বণ্টনের কথা কেউ বলে না। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ‘দ্য আইডিওলজি অব দ্য ন্যাশন স্টেট : সাম রিফ্লেকশন অন ন্যাশন-বিল্ডিং, লিবারাল-ইন্ডিভিজ্যুয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের স্কুল অব ল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস- এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান।  অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমাদের দারিদ্র্যের যে মাপকাঠি দেওয়া হচ্ছে, আমাদের জাতীয় আয় (মূলত মাথাপিছু আয়) বেড়ে আড়াই হাজার ডলার হয়েছে। সর্বনিম্ন আয় কত? কারণ জিডিপির মাপ, গড়পড়তা দিয়ে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা হবে না। সর্বনিম্ন মজুরি কত, এটাই হবে মাপকাঠি। যেখানে সর্বনিম্ন মজুরির মান মানবেতর, মাসে ছয় হাজার, আট হাজার, তাকে কোনোক্রমেই উন্নয়ন বলা যায় না। অথচ আমাদের উন্নয়নের বটিকা খাওয়ানো হচ্ছে। মূল প্রবন্ধে উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক ড. শাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতায় যারা থাকেন, তারা রাষ্ট্রকেই একটি ‘আইডিওলজি’তে পরিণত করেন। এর তিনটি উপাদান হলো- একটি জাতিরাষ্ট্র, উদার নীতিভিত্তিক সাংবিধানিক ব্যবস্থা এবং উন্নয়নের এজেন্ডা। এসব রাষ্ট্রে যারা ক্ষমতায় আসেন তারা উপনিবেশিক অবস্থাগুলোকে চ্যালেঞ্জ বা সংশোধনও করেন না। বিদ্যমান শ্রেণিচরিত্র, কর্তৃত্ব সবই আগের মতো থাকে। এভাবে সৃষ্ট আইডিওলজির মাধ্যমে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখে।

সর্বশেষ খবর