বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাত দশক ধরে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন। কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়। গতকাল নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে! সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনো দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে পড়েছে। জনগণের সম্পদ ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। এসব স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা বলে, করে তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলে তারা। অথচ এর সব কটি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেননি আপনারা। আমরা রাজনৈতিকভাবে সব কর্মসূচি মোকাবিলা করব। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে তা দমন করবে।’ তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া। তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা এত দিন অন্ধ সমালোচনা করেছে, এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন। বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়, তখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, এই মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক, সময় হলে মূল্য বৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে বলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর