শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এমন বিদায় কেউ ভাবেনি

আসিফ ইকবাল

এমন বিদায় কেউ ভাবেনি

টি-২০ ক্রিকেটে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে নেতৃত্বে বদল আনে ক্রিকেট বোর্ড। শুধু অধিনায়ক নয়, বদল আনে হেড কোচ পদেও। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানের হাতে। হেড কোচ থেকে রাসেল ডোমিঙ্গোকে সরিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের শ্রীধরন শ্রীরামকে। নতুন পরিবর্তনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা। গতকাল ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘বাঁচা-মরার লড়াই’। সুপার ফোরে খেলতে মরিয়া সাকিব বাহিনী গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলেছে। আফগান ম্যাচে ব্যর্থ দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের পরিবর্তে সুযোগ পান সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাব্বির টি-২০ খেলেন ৩৫ মাস পর। মিরাজ খেলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর। বাংলাদেশের ৭৭তম ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইবাদত হোসেনের। অভিষেকের প্রথম দুই ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ফোকাস নিজের দিকে টেনে নেন। কিন্তু শেষ দুই ওভারে যথাক্রমে ২২ ও ১৬ রান দিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন দলকে। পরিবর্তনের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেও জিততে পারেনি। ২ উইকেটে হেরে বাংলাদেশ ছিটকে পরে এশিয়া কাপ থেকে। সাকিব বাহিনীর এমন বিদায় ভাবতে পারেনি কেউ! এই জয়ে সুপার ফোরে আফগানিস্তানের সঙ্গী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করার পরও বাংলাদেশের এমন বিদায় কেউ ভাবেনি। তীরে এসে তরী ডুবালো সাকিবরা।                            

টস হেরে দুবাইয়ে ব্যাটিং উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩। তাতে ছিল না ৫০ রানের কোনো ব্যক্তিগত ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন আফিফ হোসেন ২২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায়। অধিনায়ক সাকিব ২২ বলে ২৪ রান করেন। ইনিংসটি খেলে সাকিব প্রথম শ্রেণির টি-২০ ক্রিকেটে ৬ হাজার (৩৬৯ ম্যাচ, ৬০০৯ রান) রানের মাইলফলক গড়েন। মাহমুদুল্লাহ ২৭ রান করেন ২২ বলে। আফিফ ও মাহমুদুল্লাহ পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৭ বলে ৫৭ রান যোগ করেন। শেষ দিকে মোসাদ্দেক সৈকত ৯ বলে ৪ চারে ২৪ রানের হার না মানা ব্যাটিং করলে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৭ উইকেটে ১৮৩ রান। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের পাইনালের পর পুনরায় ওপেন করেন মিরাজ। এই প্রথম টি-২০ ক্রিকেটে ওপেন করেন মিরাজ ও সাব্বির। দুজনে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেন করেন। সাব্বির ৬ বলে ৫ রান করলেও মিরাজ ৩৮ রান করেন ২৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ দিকে তাসকিন ৬ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করেন।

টার্গেট ১৮৪ রান। বাংলাদেশের এত বড় স্কোর তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে শ্রীলঙ্কার। ২০১৮ সালে মিরপুরে টাইগারদের ৫ উইকেটে ১৯৩ রান টপকেছিল ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ ১৯ বল হাতে রেখে। গতকাল দুবাইয়ে ব্যাটিং উইকেটে সাকিব বাহিনীর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পর জয়োৎসবে মেতে ওঠে দাসুন শানাকার শ্রীলঙ্কা। ওপেনার কুশল মেন্ডিস ৩৭ বলে ৬০ রান ও অধিনায়ক শানাকা ৪২ রান করেন। চার বছর আগে রেকর্ড গড়া জয়ের ম্যাচে দুজনেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর