সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাত দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমের যাবজ্জীবন

আদালত প্রতিবেদক

সাত দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমের যাবজ্জীবন

রাজধানীর গুলশান থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত

অপর আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসালাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাহউদ্দিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, রায় ঘোষণার আগে এ মামলার আট আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে এ মামলায় আদালতে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গ্রেফতারের পর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলার রায় হলো। রায়ে একটি পিস্তল, ৪৭ রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা, সাতটি শটগান, ৭৩টি শটগানের কার্তুজ ও বিভিন্ন মডেলের আটটি মোবাইল ফোন রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম অনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’ মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে ডকুমেন্ট ওদখালেও তা যাচাইয়ে সত্যতা মেলেনি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এসএম বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করেন আমিনুল। তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন। এ ছাড়া অন্য আসামিরা নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে র‌্যাবের হাতে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফাতার হন জি কে শামীম। পরে তার বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে। পরদিন তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারে জি কে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর