শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

চার্জশিট নর্থ সাউথ চেয়ারম্যানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী, চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, দুই পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন কমিশন সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস্ (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন্স) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিনি আরও বলেন, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের সুপারিশ পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কতিপয় সদস্যের সম্মতির মাধ্যমে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমল জমির মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান ও গ্রহণ করেছেন। দুদক সচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে আবার নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। চার্জশিটে বলা হয়- অবৈধ উপায়ে অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটিত করায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সর্বশেষ খবর