বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাগরপাড়ের স্লুইসগেটে মিলল আয়াতের দুই পা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সাগরপাড়ের স্লুইসগেটে মিলল আয়াতের দুই পা

অপহরণের পর খুন হওয়া চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের লাশের খন্ডিতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নগরের আকমল আলী রোডের সাগরপাড়ের স্লুইসগেট এলাকা থেকে আয়াতের দেহের কিছু খন্ডিতাংশ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযানের ষষ্ঠ দিনে সাগরপাড়ে শিশু আয়াতের খন্ডিতাংশ মেলে। পিবিআই ধারণা করছে, খন্ডিতাংশ দুটি আয়াতের পা। ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে আয়াত। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান আছে। আয়াত স্থানীয় তালীমুল কোরআন নুরানি মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল। নিখোঁজের পরদিন ইপিজেড থানায় দায়ের হওয়া জিডি এখন মামলা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘ষষ্ঠ দিনের মতো গতকালও আয়াতের দেহাবশেষ খুঁজতে আমরা অভিযানে যাই। অভিযানে গতকাল খন্ডিত মাংসপি- আকমল আলী রোডের সাগরপাড়ে স্লুইসগেট এলাকায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো আয়াতের পায়ের অংশ। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’ পুলিশ জানায়, ১৫ নভেম্বর বিকালে আলিনা ইসলাম আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে শিশুটি মক্তবে যায়নি। উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার ১০ দিন পর ২৫ নভেম্বর জানতে পারে, তাদের সন্তান খুন হয়েছে পরিচিতজন আবির মিয়ার হাতে। আয়াত তাকে চাচ্চু বলে ডাকত। আবির পুলিশকে জানান, তিনি আয়াতকে অপহরণ করেন মুক্তিপণের জন্য। চিৎকার করায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করতে আয়াতকে ছয় টুকরো করা হয়। আয়াতের খন্ডিত মাংসপি-গুলো ভাসিয়ে দেওয়া হয় সাগরে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২৪ নভেম্বর রাতে সিইপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার বাসা থেকে আয়াতদের ভাড়াটিয়া আবির মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন থেকে চলা অভিযানে আয়াতের রক্তমাখা কাপড় ও স্যান্ডেল উদ্ধার করে পুলিশ। ২৮ নভেম্বর রাতে শিশু আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে দেহ ছয় টুকরো করে খালে-সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার রহস্য উদ্ঘাটনে অভিযুক্ত আবিরের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর